পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাওটিং উপদ্বীপ । ܠܹ ܠ মাথায় করিয়া দেশে ফেরা অপেক্ষা মৃত্যু শতগুণ শ্ৰেয়” এই বলিয়া রুষগণের সমক্ষেই হেরিকেরি করিয়া প্ৰাণত্যাগ কবিলেন। বলা বাহুল্য সম্রাট এ সংবাদ পাইবা মাত্ৰ মৃত বীরগণের স্ত্রী পরিবাবকে যথেষ্ট পেনসন দিবাব আজ্ঞা প্ৰদান করিলেন। যাহাঁরা জীবিত ফিরিয়াছিলেন, তাহারা মেডেল ও উপাধি প্ৰভৃতিতে ভূষিত হইলেন। জলযুদ্ধে এরূপ বীরত্বেব দৃষ্টান্ত আর কোন দেশেব ইতিহাসে নাই। রুষগণও জাপ-বীরত্বের শত মুখে প্ৰশংসা কবিতে বাধ্য হইলেন। এদিকে আভুমিরাল টোগো রুষ-জাহাজ সকল বন্দবে আটক বাখিয়া, জাপান যে জুলু নদীর তীরে স্থলযুদ্ধের আয়োজন করিতেছিলেন, তাহারই সাহায্যে অগ্রসব হইলেন । অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ । লাওটিং উপদ্বীপ । মানচিত্ৰ দেখিলে সকলেই বুঝিতে পাবিবেন যে লাওটিং উপদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পোর্ট আর্থার অবস্থিত -এই উপদ্বীপের মধ্য দিবা কাষ-বেল মুক্‌ডেন হইযা হাববিনে চলিয়া গিয়াছে। এই সমস্ত প্ৰদেশই কষেবা অধিকৃত। জাপানকে পোর্ট আর্থার দখল করিতে হইলে এই উপদ্বীপের কোন স্থানে সেনা আনয়ন না করিলে, সে উদ্দেশ্য সফল হইবার উপায় নাই; সুতরাং সকলেই বুঝিয়াছিলেন যে সুবিধা পাইলেই জাপান লাওটাং উপদ্বীপের কোন স্থানে জাপসৈন্য আনয়ন করিবেন। রুষগণ ইহা বেশ বুঝিতে পারিয়াছিলেন ;-তজন্য তাহারা মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে লাওটিং উপদ্বীপের প্রধান সহর নিউচাংয়ে প্ৰায় ছয় হাজার সেনা আনয়ন করিয়াছিলেন। এই সহৱ