পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOSR রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । বেষ্টন করিয়া দণ্ডায়মান হয়,--আর অপর দল ইহাদিগকে পরাজিত করিয়া সেই দণ্ড অধিকার কবিতে চেষ্টা পাইয়া থাকে। সে এক ভয়ানক ব্যাপার! বালকগণ দণ্ডের চতুর্দিকে বেষ্টিত বালকগণের উপর প্ৰবল প্ৰতাপে মহা চীৎকারে পতিত হয় ;-মারামারি, হাতাহাতি, ঘুসি, লাতি,-যে যেৰূপে পারে অপর দলকে প্ৰহার করে। অনেকে ভূতলশায়ী হয়,-অনেকে তাহদের বুকের উপব দাড়াইয়াই লড়িতে থাকে ! কেহ কেহ আবার অপরের স্কন্ধে উঠিয়া ঘুসি চালায় ! যখন জয়ী দল দণ্ড ভুমে পাতিত করিতে পারে, তখনই এই ভয়াবহ যুদ্ধ স্থগিত হইয়া বালকগণ ঘাম মুছিতে মুছিতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে ছড়াইয়া পড়ে । অনেকে আহত হইয়া সহজে উঠিতে পারে না ; যুদ্ধক্ষেত্রেই পড়িয়া থাকে । তবে ডাক্তাব ডাকিবার প্রয়োজন অতি অল্প সময়েই কয় ! যাহাদের ক্রীড়া এইরূপ ভয়াবহ ব্যাপাব,--তাহারা যে ভবিষ্যতে মহাবীর হইবে, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? যেমন জলযুদ্ধ-বিদ্যায় জাপানিগণ সুদক্ষ হইতেছে, ঠিক সেইরূপ স্থলযুদ্ধেও তাহাবা আধুনিক যুদ্ধেব সমস্ত বৈজ্ঞানিক প্ৰণালী শিক্ষা করিতেছে। ইহার জন্যও জাপান-রাজ এক বৃহৎ কলেজ স্থাপনা করিয়াছেন। কেবল ইহাই নাহে ;-ৰ্তাহাদের হাসপাতালেব বন্দোবস্তও চমৎকার । সেনাদলের সঙ্গে সঙ্গে যে সকল হাসপাতাল ছিল, তাহার প্রশংসা রুষগণ ও মুক্তকণ্ঠে করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত জাপানিগণ হিরোসিম নামক স্থানে এক বৃহৎ হাসপাতাল স্থাপন করিয়াছিলেন। ছয়খানা জাহাজ যুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে আহতগণকে ক্ৰমান্বয়ে দেশে লইয়া আসিতেছে। এইস্থানে চারিটি বড় বড় হাসপাতাল ও ছয়টিী শাখা হাসপাতাল স্থাপিত হইয়াছে। যাহাদিগকে দূরে পাঠাইলে ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা নাই, তাহাদিগকে দুরন্থ হাসপাতালে বা তাহদের স্বগৃহে পঠাইয়া দেওয়া হইতেছে। এই সৰুল হাসপাতালে। ২৮ জন জুদক্ষ ডাক্তার ও প্ৰায় সাড়ে তিন শত