পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । এমনই অন্ধকার হইয়া গেল যে উভয় পক্ষেই যুদ্ধ স্থগিত রাখিতে বাধ্য হইলেন। কুরোকি নিজ রিপোর্টে লিখিয়াছেন,--“আমাদের মধ্যদল শক্ৰকে বিতাড়িত করিয়াছো-কিন্তু অপর দুইদল তাহাদিগকে তাড়াইতে *ाहन माहे ।” রাত্রে আবার জাপগণ রুযদিগকে আক্রমণ করিল। কুবোকি লিখিয়াছেন, “জ্যোৎস্না থাকায় শত্রুগণ , আমাদিগকে দেখিতে পাইয়া ভয়াবহ গোলাগুলি চালাইতে আরম্ভ করিল। তাহাবা পৰ্ব্বত হইতে অনেক বড় বড় পাথর গড়াইয়া দিল । ইহাতে আমাদের অনেক সেনা হত আহত হইয়াছে,-কিন্তু আমার সেনাগণ তাহাতে বিন্দুমাত্র ভীত হয় নাই,-তাহারা পাহাড়েব উপর উঠিয়া শক্রকে আক্রমণ করিয়াছিল। রুষগণ সে আক্রমণ সহ্যু কবিতে পারে নাই ।” এই রাত্রে রুষগণও দুই তিনবাব জাপানিগণকে আক্রমণ করিয়াছিল, কিন্তু জাপগণ অনায়াসে তাহাদিগকে বিতাড়িত করিতে সক্ষম হইয়াছিল । ২৭শে প্ৰাতে জাপানিগণ সমস্ত পাহাড় দখল করিয়া, তাহার উপর তাহাদেব কামান টানিবা তুলিলেন। এখন রুষগণ পাহাড়ের নিম্নে নদীর তীরে আসিয়া সমবেত হইয়াছে।--তাহাদেব উপর এক্ষণে অগণিত জাপানী গোলা পড়িতে লাগিল। আর তাহদের এখানে তিষ্ঠিবার উপায নাই । কিন্তু চারিদিক কুয়াসায় পুর্ণ-কিছুই ভাল দেখা যায় না,-পথ চলাচলের উপায় নাই,-তবু কুয়াসার সুবিধা পাইয়া রুষগণ পশ্চাৎপদ হইতে আরম্ভ করিল। জাপানিগণও এই কুয়াসার অন্ধকারে ক্লাবদিগের পলায়নের পথের পশ্চাতে কতকগুলা কামান স্থাপিত করিলেন। যতই বৈকাল হইতে লাগিল, ততই কুয়াস সরিয়া যাইতে লাগিল । তখন দেখা গেল যে সন্মুখস্থ রাস্তা দিয়া দূরে শক্ৰগণ চলিয়া যাইতেছে। জাপানিগণের গোলা তাহদের মধ্যে গিয়া পতিত হইতেছে-এই সকল ভীষণ গোলা তাহদের তাড়াইয়া লইয়া চলিয়াছে! ৫টায়