পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ख°न्-घ्नम् ! RSD কিন্তু ইহাতেও বীর জাপান হৃদয় দমিল না। তাহারা কেহই তাহাদেব সেনাপতি টোগোবি আজ্ঞা পালনে অবহেলা করিল না । তাহারা পরস্পরে সুকলই জানিত যে তাহারা পরস্পর পরস্পবকে দেখিতে পাইতৃেছে না। সত্য-কিন্তু কোন জাহাজই প্ৰত্যাবৃত্ত হয় নাই, সকলই পোর্ট আথারের দিকে মহা বেগে গমন করিতেছে। রাত্ৰি ৩টাব সময় আসাগিরি নামে জাপানী জাহাজ পোর্ট আর্থাব বন্দরেব-নিকটস্থ হইল। ইসাকোয় এই জাহাজের কাপ্তেন ছিলেন । তিনি দেখিলেন যে “তঁহাদেব আব্ব কোন জাহাজই এখনও পোর্ট আর্থারে আসিতে পাবে নাই। কিন্তু তিনি তাহাতে বিন্দুমাত্র ভীত হইলেন না। কািবব কিছু না কিছু অনিষ্ট সাধন না করিয়া তিনি এখান হইতে প্ৰত্যাবৃত্ত কুইবেন না। । এবার রুষগণ নিদ্রিত ছিল না। ;-সমুদ্র মধ্যে জাহাজের শব্দ শুনিয়া তাহাবা সেই জাহাজের উপর উজ্জ্বল আলোক নিক্ষিপ্ত কবিল। পর মুহুর্তেই জাহাজ ও দুর্গ হইতে শত শত কামান গজ্জিয়া উঠিল - কেন যে সেই মুহুর্তেই জাপানী জাহাজ জলমগ্ন হইল না, তাহা বলা যায় না। জাপানী জাহাজ অতি দ্রুতবেগে ইতস্ততঃ ছুটিতেছিল। হয়তো সেইজন্য বরুষের গোলা তাহাকে আঘাত করিতে পারিল না। ;-হয়তে রুষগণের লক্ষ্য আদৌ ঠিক ছিল না। হয়তো অন্ধকাবে তাহাদেব নিজেদের জাহাজ আঘাত কবিবে। ভয়ে আসাগিবিকে ঠিক ধরিতে পারিতেছিল না। যে কারণেই হউক, অসম সাহসিক আসাগিবি আঘাতিত হইল না । ইচ্ছা করিলে সে পলাইতে পাবিত, কিন্তু পলায়নের জন্য সে এতদূর আসে নাই ;-সে যে কাৰ্য্য কবিল, এ পথ)প্ত এরূপ অসম্ভব ব্যাপাব নৌ-যুদ্ধে আর কখনও হয় নাই। বন্দরেব দ্বারে তিনখানা রুষ জাহাজ ইতস্ততঃ ঘুরিয়া পাহারা দিতেছিল। দুই পার্থে বিভিন্ন সুদৃঢ় দুর্গ ; শত কামানে সজ্জিত ; তাহার পর বন্দর। বড় বড় রুষ জাহাজ তখনও গোলা চালাইতে সক্ষম,--আর সন্মুখস্থ পোর্ট আর্থার দুর্গের উল্লেখ অনাবশ্যক মাত্র। কিন্তু ইহাতেও ক্ষুদ্র