এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অশ্বত্থ বটের পথে অনেক হয়েছি আমি তোমাদের সাথী;
ছড়ায়েছি খই ধান বহুদিন উঠানের শালিখের তরে;
সন্ধ্যায় পুকুর থেকে হাঁসটিরে নিয়ে আমি তোমাদের ঘরে
গিয়েছি অনেক দিন,—দেখিয়াছি ধূপ জ্বাল, ধর সন্ধ্যাবাতি
থোড়ের মতন শাদা ভিজে হাতে,—এখুনি আসিবে কিনা রাতি
বিনুনি বেঁধেছ তাই—কাঁচপোকাটিপ তুমি কপালের ’পরে
পরিয়াছ...তারপর ঘুমায়েছ: কল্কাপাড় আঁচলটি ঝরে
পানের বাটার ’পরে; নোনার মতন নম্র শরীরটি পাতি
নির্জন পালঙ্কে তুমি ঘুমায়েছ,—বউকথাকওটির ছানা
নীল জামরুল নীড়ে—জ্যোৎস্নায়—ঘুমায়ে রয়েছে যেন, হায়,
আর রাত্রি মাতা-পাখিটির মতো ছড়ায়ে রয়েছে তার ডানা।...
আজ আমি ক্লান্ত চোখে ব্যবহৃত জীবনের ধূলোয় কাঁটায়
চ’লে গেছি বহু দূরে;—দেখ নিকো, বোঝ নিকো, কর নিকো মানা;
রূপসী শঙ্খের কৌটা তুমি যে গো প্রাণহীন—পানের বাটায়।
১৩২৬-এর কতকগুলো দিনের স্মরণে
৫২