পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
১২৫

 সিনর মেনডোজার কন্যা একখানি চেয়ারে বসিয়াছিলেন; তাঁহার মুখ অত্যন্ত বিষন্ন, তিনি স্নান, হাস্যে স্মিথকে অভিবাদন করিলেন। স্মিথ তাঁহার মর্ম্ম-পীড়ার কারণ জানিত, সহানুভূতিতে তাহার হৃদয় পূর্ণ হইল।

 দুই একটি কথার পর স্মিথ সিনর মেন্‌ডোজাকে তার আগমনের কারণ বলিল।

 সিনর মেন্‌ডোজা বলিলেন, “হাঁ, আমি তোমাকে দিবার জন্য একখানি পত্র পাইয়াছি বটে, মিঃ ব্লেকের অনুরোধ ছিল পত্রখানি যেন তোমার হাতে দেওয়া হয়।”—অনন্তর তিনি কন্যার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “কারমেন্, আমাদের কোনও গোপনীয় পরামর্শ আছে, তোমার তাহা শুনিবার আবশ্যক নাই।”

 কারমেন তৎক্ষণাৎ উঠিয়া সেই কক্ষ ত্যাগ করিলেন।

 স্মিথ দ্বাররুদ্ধ করিয়া বলিল, “আপনার অনুমতি হইলে আমি পত্রখানি পাঠ করিতে পারি।”

 সিনর মেন্‌ডোজা বলিলেন, “সচ্ছন্দে; পত্রে মিঃ ব্লেক তোমাকে কি লিখিয়াছেন জানিবার জন্য আমারও বড় আগ্রহ হইয়াছে।”

 পত্রে গালা-মোহর করা ছিল। স্মিথ পত্রখানি খুলিয়া পাঠ করিতে লাগিল; অতি দীর্ঘ পত্র। পত্রখানি রুদ্ধ, নিঃশ্বাসে পাঠ করিয়া স্মিথ সিনর মেন্‌ডোজার বলিল, “মিঃ ব্লেক আমাকে লিখিয়াছেন, আমি ইচ্ছা করিলে এই পত্রের মর্ম্ম আপনার গোচর করিতে পারি। পত্রের প্রথমাংশে আমার সম্বন্ধে যে সকল ব্যক্তিগত কথা আছে, তাহা আপনাকে জ্ঞাপন করা অনাবশ্যক।—অন্যান্য যে সকল কথা আছে তাহাই শুনুন।”

 এই পত্রে মিঃ ব্লেক তাঁহার সাল্‌ভেরিটা-যাত্রার কাহিনী লিখিয়া-