পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
১৩১

তখন পর্য্যন্ত নিঃসন্দেহ হইতে পারি নাই; আমি কেবল অনুমানে নির্ভর করিয়াই ছুটিতেছিলাম, এক এক সময় সন্দেহ হইত, হয় ত। আমি ভ্রান্তিবশে মরীচিকার অনুসরণ করিতেছি।

 “মেলবোর্নে গিয়া শুনিলাম, ফ্লোর-ডি-লিজের সুন্দরী আরোহিনী সেখানে কতকগুলি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাদি সংগ্রহ করিয়া হংকং অভিমুখে যাত্রা করিয়াছে। পরদিন আমিও হংকং যাত্রা করিলাম। হং-কংএ আসিয়া শুনিলাম, ফ্লোর-ডি-লিজ্‌ পূর্ব্ব-দিন ব্যাটেভিয়ার দিকে গিয়াছে। এইবার আমার সন্দেহ প্রতীতিতে পরিণত হইল; বুঝিলাম, ফ্লোর-ডি-লিজ্‌ আমার পূর্ব্ব-পরিচিত বোম্বেটে জাহাজ ভিন্ন অন্ কোনও জাহাজ নহে। ঝেম্বেটেদের, ধরিতে পারিলে ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক রাজ্যের পোতাধ্যক্ষগণের আতঙ্ক দূর করিতে পারিব।”

 স্মিথ সিনর মেন্‌ডোজাকে বলিল “আপনি যে পত্রখানি আমাকে, দেখাইয়াছিলেন, তাহা কর্ত্তাকে দেখাইবেন না?”

 সিনর মেন্‌ডোজা বলিলেন, “তাই ত পত্রধানির কথা যে ভুলিই। গিয়াছিলাম! এখনই গুহা মিঃ ব্লেককে দেখাইতেছি।”

 সিনর মেন্‌ডোজা আমেলিয়ার লিখিত পত্রখানি কোটের পকেট হইতে বাহির করিয়া মিঃ ব্লেকের হস্তে প্রদান করিলেন।

 মিঃ ব্লেক একাগ্র মনে পত্রখুনি পাঠ করিলেন, তাহার পর মাথা তুলিয়া বলিলেন, “আমার অনুমান যে সত্য, এই পত্রই তাহার আর এক প্রমাণ। যেমন করিয়া হউক ফ্লোর-ডি-লিজ্‌ কে ধরিতেই হইবে।”

 সিনর মেন্‌ডোজা সসঙ্কোচে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে এ পুত্র লিখিয়াছে, তাহা বুঝিয়াছেন কি?—তাহার নাম বলিতে কোনও - বাধা আছে?”