পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
৫৭

কি সেই রাজ্যের অধিবাসী, তাহা কেহই নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারে নাই।

 “সাল্‌ভেরিটা রাজ্যের প্রধান সেনাপতি এখন রাজ্যের কর্তৃত্ব-ভার গ্রহণ করিয়াছেন। সৈন্যগণের অপ্রতিহত আধিপত্য চলিতেছে। কাজকর্ম্ম সমস্তই বন্ধ।

 “দুর্ঘটনার দিন সন্ধ্যাকালে প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসন মন্ত্রণা-সভায় প্রস্তাব করিয়াছিলেন,সৈন্যগণের প্রাপ্য বেতন সমস্তই পরিশোধ করিতে হইবে, এবং তাহাদের বেতন বৃদ্ধি করিতে হইবে। সভাস্থলে এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ না হইলেও বর্ত্তমান অর্থসঙ্কট-কালে এ প্রস্তাব জনসাধারণের অনুমোদিত হয় নাই; সুতরাং এই বিভ্রাটে প্রতি পক্ষের কোনও হাত নাই, সকলে ইহা মনে করিতে পারিতেছে না।

 “সাল্‌ভেরিটা রাজ্যের লণ্ডনস্থ রাজদূত সিনর মেন্‌ডোজার কন্যার সহিত প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনের বিবাহের প্রস্তার স্থির হইয়াছিল।

 ভবিষ্যতের গর্ভে কি রহস্য নিহিত আছে, তাহা জানিবার জন্য সকলেই উদ্‌গ্রীব হইয়া আছে।”

(পরবর্ত্তী সংবাদ।)

 “প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনর অন্তর্ধান-সম্বন্ধে দুই একটি কথা জানিতে পারা গিয়াছে।

 “একজন জেলে সংবাদ দিয়াছে, সে পর দিন প্রত্যুষে সমুদ্র-তীরে মাছ ধরিতে গিয়া দুই খানি ফ্ল্যাটকে সমুদ্র-বক্ষস্থিত, একখানি জাহাজের দিকে যাইতে দেখিয়াছে। সেই স্থান পোর্টো কষ্টান্ত বন্দর হইতে প্রায় পনের মাইল দূরে অবস্থিত।