পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G 8 বঙ্গে ভক্তি । অন্তটা মধুপ—পঞ্চম ঝঙ্কার করিয়া আগমনী গাহিল। তার পর ভক্তির গোরা অসিলেন । এই পৃথিবীতে অনল সৰ্ব্বত্র লুক্কায়িত । আগুন কিসে নাই বল ? বরফেতে, হিমানীতে, বায়ুতে, কিসে তেজ নাই ? তেজ প্রকৃতির জীবন, তেজ ব্ৰহ্ম । প্রতি মনুষ্য-জীবনে সেই পবিত্রাগ্নি লুক্কায়িত ; তবে যে দেখিতে পাও না, তোমার নিজের তেজ প্রচ্ছন্ন বলিয়া । তোমার হৃদয়ে একটু আগুন জালিয়া দেখ ; চারি দিক উষ্ণ হইবে, শীতল প্রস্তরের শীতল বক্ষে অনলোদগম হইবে, মেঘের শরীরে বিদ্যুৎ সঞ্চার হইবে। একটা দিয়াশলাই জালিয়া এক গৃহে নিক্ষেপ কর ; দেখিবে, যাহার মধ্যে তেজ ছিল না—গৃহ, প্রাচীর, কাষ্ঠ, তেজস্বী হইয়াছে। তুমি যদি অগ্নিসঞ্চারের গুপ্ত-মন্ত্র জান, তবে তিন ভুবন জালিতেও জানিবে । প্রতিভার হৃদয়ে যে অগ্নি, তাহাতে শীতলে তেজের সঞ্চার হয় । আজ গোরা পাগল, তাই বঙ্গদেশ পাগল—মুলুক পাগল ! গোরা, বহিতে ভক্তি-গীতি লিখে নাই । গোরা, জীবনে ভক্তি-গীতি লিথিয়াছে। গোরার কৰ্ম্মে যে সৌন্দৰ্য্য, বিদ্যাপতির তাহাই কবিত্বের উচ্ছসি। কবির উপমা, স্বর, লহরী, অলঙ্কারময়ী পঙক্তি, পূৰ্ব্বরাগ, বিরহ, সম্ভোগ, মিলন, গোরার জীবনগ্রন্থে সবই গাহিবে । যাহারা গোরার মুখ দেখিয়াছিল, তাহার বাপীনীর বিধূত ফুল্ল পঙ্কজের শোভা দেখিয়াছিল ; যাহারা গোরার জীবনের অনুষ্ঠান-রাশি প্রত্যক্ষ করিয়াছিল, তাহার। পুণ্যবান, সৌভাগ্যশালী—পবিত্রতার পুণ্য-গন্ধ লাভ কহিয়া ধন্ত হইয়াছিল । তাই গোরাকে দেখিয়া বঙ্গদেশ অবতার মানিয়াছিল। অশীতি বর্ষের বৃদ্ধ, জ্ঞানে অসীম, অসীম মনস্বী, গোরার