পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬০ ৷ বঙ্গে ভক্তি । ভ্রম জন্মাষ্টয়া, কোনরূপে চৈতন্য করাইল। তার পর যখন চন্দ্রা, কৃষ্ণের নিকট রাধিকার দৌত্য গ্রহণ করিয়া যাইতে চাহিল, তখন রাধিক হাত বাড়াইয়। স্বৰ্গ পাইলেন । কিন্তু চন্দ্রা, কতক দূর যাইয়া ফিরিয়া আসিয়া, দাসখং চাচ্ছিল। রাধিক জিজ্ঞাসা করিলেন,—“দাসখৎ দিয়া কি করিবে?” চন্দ্র বলিল, “নিষ্ঠুর কালা যদি সোজা কথায় না আসে, দাসখৎ অনুসারে বাধিয়া আনিব ।” অন্য অন্য আলাপের পর, চন্দ্র গমনোন্তত হইল ; কিন্তু রাধিকা ধীর-পদসঞ্চারে চন্দ্রীর পশ্চাৎগামিনী হইলেন । চন্দ্র, কারণ জিজ্ঞাসা করাতে, ভীতা রাধিক অতি গোপনে চন্দ্রাকে স্বীয় ভয় জানাইলেন—, “তুমি চন্দ্র। সুচতুরা, নিশ্চয় যাবে মথুরা, আনতে মোর পরাণ-বল্লভে । আমার শপথ লাগে, বলি চন্দ্রা, তব অাগে, মোর এই কথাটি রাখিবে । বেঁধ না তার কমল-করে, ভৎসনা ক’র না তারে, মনে যেন নাহি পায় দুখ । যখন তারে মন্দ কবে, চন্দ্রমুখ মলিন হবে, তাই ভেবে ফাটে মোর বুক ।” ইহা ভগবৎ-ভক্তি-বিশুদ্ধ ! বাঙ্গালীর ইহা প্রেম নহে--ইহা ধৰ্ম্ম । খৃষ্টানের যীশু আছে, মুসলমানের মহম্মদ আছে, আমাদের বিস্তাপতি, চণ্ডীদাস, কৃষ্ণকমল, আর চৈতন্ত আছেন। তোমাদের বীর-রসের শব্দে মাত্র পরিণতি-হুঙ্কার আছে, ইংরাজের কামানের গোলা আছে, মুসলমানের এক হস্তে তরবারি ও অন্য হস্তে বর্ষ।