কবি-প্রশস্তি
কোন্ বিরহের তীব্র সুরা পান করিলে কবি?
পেয়ালা মাঝে জাগ্ল কাহার দীপ্ত মুখের ছবি!
ছন্দেতে কার্ পায়ের নূপুর বাজ্ল তালে তালে—
কণ্ঠটী কার্ জড়িয়ে এল তোমার সুরের জালে!
নিমেষটীরে ধন্য ক’রে গাইলে তুমি গাথা,
নিমেষ তরে ভুলিয়ে দিলে বিশ্ব মনের ব্যথা।
একটী নিমেষ—মরুর মাঝে একটী জলের ধারা,
একটী নিমেষ—অন্ধকারে উজল সন্ধ্যা তারা।
চাইলে না তো বিত্ত কোনো বিশ্ব সভার মাঝে—
কোন্ গরবীর কণ্ঠমালা শিরে তোমার রাজে!
নৈশপুরের কোন্ দেবী সে যার রূপেরি ছটা
উজল্ ক’রে রাখলে আয়ুর দীর্ঘ বরষ ক’টা।
গোলাপ বনের মাঝখানেতে ছোট্ট কুটীর খানি,
উদাস হাওয়ায় মিশ্ত যেথায় স্রোতস্বিনীর বাণী,
সেই খানেতে তোমার রচা হৃদয়-ছ্যাঁচা গান
তুল্লে কাহার কণ্ঠ বীণায় তীব্র করুণ তান!
রাজসভাতে ব’স্তে তুমি সবার শেষে আসি’—
বাদসাজাদীর মুখের ’পরে খেল্ত নাকি হাসি!
চিকের পারে কাঁকনটী তার বাজ্ত মধুর বোলে,
অলক্-খসা ফুলটী এসে পড়্ত নাকি কোলে?