পাতা:রোমীয় সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান । হইলেন যে তাঁহাতে তিনি মৃত স্ত্রীর সকল শোক বিস্মত হইলেন, এইরূপে বহুকাল গত হইল কিন্তু তথাপি র্তাহাদিগের সন্তান হইল না, পরে রাণী শ্রুত হইলেন যে রাজার প্রথম স্ত্রীর গৰ্বজাত এক পরমসুন্দর পুত্ৰ আছে তাহাকে নয়নগোচর নী করিয়াও তিনি তৎপ্রেমাসক্ত হইলেন, এবং মনোভীষ্ট সিদ্ধিকরণার্থ রাজকুমারকে কিপ্রকারে গৃহে আনয়ন করবেন অহনিশ এই চিন্তা করিতে লাগিলেন। এক দিবস নিশীথ সময়ে রাজা যৎকালীন রাণীর নিকট শয়ন করিয়া নানাপ্রকার গুপ্তভাব প্রকাশ করিতেছিলেন, এই অবসরে তিনি নৃপতিকে কহিলেন, মহারাজ ! আমার এক প্রার্থনা আছে যদি আপনি স্বীকার করেন তবে ব্যক্ত করি, রাজা কহিলেন, প্রিয়ে! আমার ক্ষমতাতীত না হইলে আমি অবশ্য করিব, অনন্তর মহিষী কহিলেন, হে স্বামিন্‌! আমার সন্তানসস্ততি কিছুই হইল না, অতএব আমার অভিলাষ এই যে আপনার এক পুত্র সপ্তজ্ঞান শিক্ষকদিগের নিকট নিযুক্ত আছে, তাহাকে আনয়ন করিয়া আপন সন্তানসদৃশ প্রতিপালন করি, আর তাহকে নয়নগোচর করলে আমার সর্বদুঃখ দূরে যাইবে ও তৎসম্বন্ধে মহারাজারও প্রণয় বৃদ্ধি হইবে। ভূপতি যুবতীর প্রার্থনাতে আহ্নাদিত হইয়া আলিঙ্গন করলেন এবং কহিলেন, তুমি যে পরামর্শ দিলে আমার মনেও এইরূপ কল্পনা ছিল, আমি প্রায় ষষ্টদশ বৎসর পুত্ৰমুখ নিরীক্ষণ করি নাই, অতএব হৃষ্টচিত্তে তোমার মানস পৃর্ণ করিব। পরদিবস প্রভাত হইলে আগত পেন্টিকোষ্টনামক পৰ্ব্বদিবসোপলক্ষে রাজপুত্রকে আনয়নার্থ শিক্ষকদিগের নিকট দূত প্রেরণ করলেন।