পাতা:রোমীয় সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ সপ্তাচাৰ্য্য উপাখ্যান । এই অঙ্কর প্রথমতঃ উত্তমরূপে বৃদ্ধি হইতে লাগিল, পরে পুরাতন শাখিশাখার বাহুল্যপ্রযুক্ত দিনকর কর আচ্ছাদন হইলে হুতন অঙ্কুরের তেজোহ্রাস হইতে লাগিল, সাধু নববৃক্ষের ঈদৃশী দশ দেখিয় উদ্যান রক্ষককে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে সে কহিল, মহাশয় বৃদ্ধবৃক্ষের বিটপ দ্বারা সুর্যের কিরণ এবং বায়ুর গতি রোধ হইয়াছে, তদ্ধেতু ইহার বৃদ্ধি হইতেছে না, ইহ শুনিয়া তিনি ঐ বৃক্ষের বিটপ শাখা চ্ছেদনে আদেশ করিলে মালী তাঁহাই করিল। কতিপয় দিবসানন্তর সাধু উদ্যানে আসিয়া দেখিলেন, যে বৃক্ষ পূর্বের ন্যায় রহিয়াচে, তদৃষ্টে মালিকে কহিলেন, এইক্ষণে কি নিমিত্ত ইহার বৃদ্ধি হইতেছে না? সে কহিল প্রভো ! বোধ হয় বৃদ্ধমীরুহের উচ্চতাপ্রযুক্ত রৌদ্রের এবং জলের ব্যাঘাত হইয়াছে, ইহাতে তাহার প্রভু কহিল, এই বৃক্ষকে স্বযুলে নির্মুল কর তাহ হইলে এই অঙ্কুর পুরাতন অপেক্ষাও উত্তম হইবে, উদ্যানপালক স্বামির আদেশানুসারে মুলচ্ছেদন করলে ঐ অস্কর তাহার রস না পাইয় এককালে শুদ্ধ হইয় গেল, এইরূপে অমূল্য বৃক্ষ নষ্ট হইলে, দুঃখি দরিদ্র লোক সকলেই তাহাকে অভিশাপ করতে লাগিল, কারণ তাহt:দর অর্থব্যয়ের সমর্থ্য না থাকতে তাহার কেবল এই ফল ভক্ষণ করিয়া আরোগ্য হইত, রাণী এই উপাখ্যান সমাপ্ত করিয়া তাৎপৰ্য্যরূপে পশ্চাল্লিখিত কতিপয় পঙক্তি আরম্ভ করলেন । তাৎপর্য্য। “ মহারাজ ! আপনি এই বৃক্ষসদৃশ হইয়াছেন, এবং আপনার সুবিচার ও বদান্যতা দ্বার দুঃখি দরিদ্র অন্ধ ইত্যাদি সকলেই