পাতা:রোমীয় সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏬ সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান । সন্তানের প্রাণরক্ষার্থ কুকুর ইহার প্রাণ সংহার করিয়ছে,ইহাতে অত্যন্ত দুঃখিত হইয় বিলাপস্বরে কহিতে লাগিলেন, “হায় জীবনাধিক প্রিয় কুক্কর ! তোমার জীবন হিংসা করিয়া কি আমি এই মহোপকারের প্রত্যুপকার করিলাম ইত্যাদি বহুবিধ বিলাপ করিয়া তরবারি পরিত্যাগপূৰ্ব্বক সংসারাশ্রমে জলাঞ্জলি দিয়া পুণ্য তীর্থে কালযাপন করিতে লাগিলেন" দেখ সাধু স্ত্রীর বাক্যে বিশ্বাস করিয়া এই দুরবস্থাগ্রস্ত হইলেন। তাৎপৰ্য্য । এই উপস্থিত উপাখ্যান সমাপ্ত করিয়৷ পণ্টিলাস কহিলেন, মহারাজ ! মহিষীবাক্যে বিশ্বাস করিয়া প্রাণাধিক পুত্রের প্রাণ নাশ করিলে যোদ্ধকুলীন অপেক্ষাও আপনি দুরদৃষ্টভাগী হই বেন, তন্নিমিত্তে এ অধীনের বাক্য অবহেলন না করিয়া ইহার তথ্য মুসন্ধান করা আপনকার কৰ্ত্তব্য, দেখুন, ঐ ব্যক্তি বিবেচনাপূৰ্ব্বক কাৰ্য্য করিলে ভাৰ্য্যার কথায় কদাচ কুকুরকে নিধন করিতেন না, রাজা সুবিজ্ঞ আচার্য্যের আখ্যায়িক শ্রবণ করিয়া পুত্রকে বধ করিতে নিষেধ করিলেন, এইরূপে নৃপনন্দনের প্রথম দিবসে প্রাণ রক্ষা হইল ! রাণী এক রম্য বরাহ এবং রাখালের গপ করিয়া পৃথিবী পতিকে পুনৰ্ব্বার অপত্যবধে উৎসাহ প্রদান করেন। মহিষী রাজকুমারের প্রাণ রক্ষা পাওয়া গ্রুভমাত্র অশ্রুমুখী হইয়া সম্রাট সম্মুখীন হইলেন, এবং কহিলেন, “মহারাজ! বোধ হয় আপনি এ অধিনীর প্রতি প্রতিকূল হইয়াছেন, নচেং রাজপুত্রকে দণ্ডাজ দিয়াও রক্ষা করতেন না, যাহা হউক, আশু