পাতা:রোমীয় সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান। २७ প্রাণ বিয়োগ হইতেছে, অতএব বিনতি করিতেছি, দ্বার মোচন কর, নয়নগোচর করিয়া জীবন প্রাগু হই । কিন্তু তাহার অমুনয় ৰিফল হইল, র্তাহার স্ত্রীকহিল, যেপর্যন্ত প্রহরী না আইসে তাবৎ তুমি ঐ স্থানে দণ্ডায়মান থাক, নগরপাল উপস্থিত হইলে আমাকে যেরূপ ক্লেশ দিয়াছিলে তদুপযুক্ত প্রতিফল পাও, সাধু কহিল, প্রেয়সি! তব প্রেমান্নুরাগপ্রযুক্ত এই ঘোর রজনীতে রাজপথে রহিয়াছি, আমার ত্রিকাল গত হইয়াছে শেষ দশায় আমাকে আর এ লজ্জাপমানভাগী করিও না, দুৰ্বত্ত স্ত্রী কহিল, তুমি যেমত কৰ্ম্ম করিয়াছ পরমেশ্বর তাহার দণ্ড বিধান করিয়াছেন, অতএব এ বিষয়ে তোমার অমৃতাপ করা উচিত নহে, সাধু উত্তর করিল, দেখ পরমকারুশিক জগদীশ্বর কেবল পুৰ্ব্বকৃত পাপ স্মরণদ্বারা মনুষ্যদিগকে মনেদুঃখ দেন, তদ্ব্যতীত তাহার আর দণ্ড নাই, অতএব তোমাকে কৃতাঞ্জলি করিতেছি আমাকে গৃহপ্রবিষ্ট হইতে দেও, সে কহিল এখন আর সুধাসিক্ত বাক্যদ্বারা অামার মনঃ আৰ্দ্ৰ করিতে পারিব না, আমি প্রতিজ্ঞ করিতেছি কোন ক্রমেই তোমাকে পুরপ্রবেশ হইতে দিব না, সাধু নানা প্রকার প্রবোধবাক্যে গ্রিয়ার মনঃ আয়ত্ত করিতে চেষ্টা করিতেছিলেন ইত্যবসরে প্রহরী সম্মুখীন হইয় কহিল, তুমি কি নিমিত্ত এঘোর রজনীতে রাজবর্ক্সে দণ্ডায়মান থাক? তুমি নগরের নিয়মবহির্গাচরণ করিলে তো প্রধান নগরবাসী বলিয়। এ দোষহইতে নিষ্কতি পাইব না। এই কথা শুনিয় তাহার স্ত্রী পুরীরক্ষককে কহিল, দেখ এই দুৰ্বত্ত লম্পট আমাকে একল রাখিয়া প্রত্যহ বারাঙ্গণসঙ্গে রসরঙ্গে যামিনীযাপন করে, আমি উহার স্বভাব পরিবর্তনের প্রত্যাশায় এতদিবসপৰ্য্যন্ত সহ্য করিয়াছিলাম, কিন্তু দেখি