পাতা:রোমীয় সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান । তৎপরে তদ্বারা প্রাসাদোপরি উঠিয়া সারিকার মস্তক উপরি এক ছিদ্র করিল, এবং তন্মধ্য দিয়া বারি ও প্রস্তর কণা নিঃক্ষেপ করিতে লাগিল, ইহাতে ঐ পক্ষিণী প্রায় মৃত্যুবংহইয়। রহিল । অনন্তর গৃহস্বামী গৃহে উপস্থিত হইয়া সবিশেষ জ্ঞাত হইবার জন্য সারীর নিকট গমনপূৰ্ব্বক জিজ্ঞাসা করিলেন, “সারিকে ! তুমি আমার অবর্তমানে কি দেখিয়াছ ? সে কহিল, মহাশয় সকল বিস্তারিয়া কহিতেছি শ্রবণ কর, যে দিবস আপনি এস্থানহইতে গমন করেন ঐ যামিনীতে তব কামিনী অাপন উপপতিকে গৃহে আনয়নপূর্বক এক পর্যাঙ্কে শয়ন করিয়া কথোপকথন করিতেছিলেন তং শ্রবণে আমি তাহার প্রতি কহিলাম, এই সকল স্বামিকে সুগোচর করাইব, আর আমার শারীরিক কুশলের কথা কি কহিব উক্ত রজনীযোগে শিলাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড বায়ুদ্বারা আমার প্রাণ সংশয় হইয়াছিল।” এই কথা কর্ণগোচর হইবামাত্র তাহার স্ত্রী কহিল, হে স্বামিন ! এতদিবসাবধি আপনি সারিকার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিয়া আমাকে যৎপরোনাস্তি যন্ত্রণ ও ভংসন করিতেন, এইক্ষণে দেখুন সে কহিতেছে যে, যে দিবস মহাশয় গ্রামন্তরে গমন করিয়|ছিলেন, ঐ নিশিতে শিলা বৃষ্টির প্রাদুর্ভাবপ্রযুক্ত মৃত্যুবৎ হইয়াছিল, কিন্তু উক্ত যামিনী সদৃশ নিৰ্ম্মল আকাশ প্রায় দৃষ্টিগোচর হয় নাই, ইহাতে সাধু সত্য অনুসন্ধানার্থ প্রতিবাদদিগকে জিজ্ঞাসা করিলে তাহার কহিল, ঐ নিশা নক্ষত্র ও নিশানাথদ্বারা শোভিত ছিল মেঘের লেশ মাত্র ছিল না । পরে মহাজন ভাৰ্য্যার নিকট আসিয়া কহিল, প্রিয়ে ! আমি সারীবাক্যে বিশ্বাস করিয়া তোমার প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠুরত