পাতা:রোমীয় সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 সপ্তাচাৰ্য্য উপাখ্যান । প্রন্তে ! এই বার অমর অপরাধ মার্জন করুন, আপনাবে এপ্রকার বিরক্ত আর কদচ করিব না, ভৰ্ত্ত কহিল, এইক্ষণে বৃথা বিলাপ করতেঙ্গ, তুমি আমার বশীভূত না হইলে তোমার বক্ষঃস্থলের রুধির দর্শন করিব। অনন্তর এক হস্তুের রক্ত মোক্ষণ করিতে লাগিলেন, ইহাতে তাহার পাণ্ডুবর্ণ সদৃশ বর্ণ হইলে তিনি নাপিতকে অপর হস্তের শোণিত নির্গত করিতে আদেশ করিলেন, ইহাতে তাহার ভার্য্য। মৃচ্চিতা হইলে তিনি বৈদ্যকে বিরত হইতে কহিলেন, কিঞ্চিং চৈতন্য প্রাপ্ত হইলে তাহাকে শয্যায় শয়ন করাইতে অজ্ঞা দিয়া কহিলেন, তোমার এপ্রকার দুশ্চরিত্র পরিত্যাগ না হইলে হৃদয়ের রুধির লইব । অনন্তর সহচরীগণ শয্যাতে শয়ন করাইলে সে তাহার মাতাকে সংবাদ দেওনার্থ এক জনকে আহবান করিয়া কহিল, জননীর নিকট একজন দূত প্রেরণ কর, ও কহিয়া দেও যে তব . নন্দিনী মৃত্যুকালীন তোমার সহিত সাক্ষাং করিতে ইচ্ছা করিয়ছে, প্রস্তু সংবাদ পাইবামাত্র অমৃমানদ্বাৰা এই সকল ঘটনা স্থির করিয়া অচিরে কন্যার নিকট উপস্থিত হইলেন, যুবতী মাতাকে দেখিয় মৃদুস্বরে কহিতে লাগিল, জননি! আমার শরীরহইতে এমত রক্ত মোক্ষণ করিয়াছে যে আমি মৃত্যুপ্রায় হইয়াছি, তাহার মাত কহিল, তোমাকে কি আমি পূৰ্ব্বে কহি নাই ? যে প্রাচীন ব্যক্তির স্বভাবতঃ নিষ্ঠরও চঞ্চলচিত্ত, সে যাহা হউক, তুমি কি এক্ষণে সেই পুরোহিতকে চাহ ? বল আমি অবিলম্বে তাহার নিকট গমন করিয়! তোমার অভিপ্রায় ব্যক্ত করি, দুহিত কহিল, সে প্রিয়জনকে আমার আর প্রয়োজন নাই, এ প্রেম সম্ভাষণের সময় নহে, সবল করিবার কোন উপায় দেখ।