পাতা:রোমীয় সপ্তাচার্য্য উপাখ্যান.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তাচাৰ্য্য উপাখ্যান। Գ:Ֆ এবং আজ্ঞাধীন জানিয়া পুত্রকে বিদ্যাভ্যাসনিমিত্ত সমর্পণ করিয়াছিলাম, কিন্তু তোমরা তৎপরিবর্তে তাহাকে মুক এবং লম্পট করিয়া উপস্থিত করিয়াছ, একারণ তোমাদের এবং ময় কুপুত্রেরও প্রাণ দণ্ড করিব। শিক্ষক কহিলেন, “মহারাজ ! অদ্যহইতে কল্য দিব। দুই প্রহর অধিক সময় নহে, ইতিমধ্যে যদি রাজপুত্রের প্রমুখাং পূৰ্বপর সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত না হয়েন তবে তাহার এবং আমদের সকলের প্রাণ সংহার করিবেন,” রাজা কহিলেন, ইহ সত্য হইলেও আমি এত কাল বিলম্ব করিব না, আচার্য্য উত্তর করিলেন, মহারাজ ! এসময় অধিক নহে, ইতিমধ্যেই আপনি সবিশেষ জ্ঞাত হইবেন, নচেৎ ভাৰ্য্যার কুমন্ত্রণ বশতঃ প্রাণধিক পুত্রের প্রাণ বধ করিলে এক যোদ্ধ কুলীনসদৃশ দুরদৃষ্টভাগী হইবেন (ঐ ব্যক্তি তাহার পত্নীকে এমত ভাল বাসিতেন, যে তাহার হস্তের কিঞ্চিং রক্ত দর্শনে তাহার প্রাণ বিয়োগ হইল) তাহার মৃত্যু হইলে পর তদবনিত উক্ত শবপ্রতি ভ্যন্ত নিষ্ঠুর ব্যবহার করিয়াছিল। রাজা এই ইতিহাস শ্রবণে ব্যগ্র হইলে আচার্য্য কহিলেন, মহারাজ ! যদি নৃপকুমারকে শ্মশানহইতে প্রত্যানয়ন করেন, তবে আমি এই স্ত্রীর কাহিনী পূৰ্ব্বাপর বর্ণন করি, রাজা কহিলেন, ভাল আমি অদ্য পুত্রকে নষ্ট করিলাম না, যেহেতু তুমি স্বীকার করিতেছ যে সে কল্য কথা কহিবে, শিক্ষক কহিল, মহারাজ ! ইহা করিলেই সমস্ত জ্ঞাত হইবেন, ইহা বলিয়া নিম্ন লিখিত ইতিহাস আরম্ভ করিলেন । ইতিহাস । এক সাধুর এক ভুবনমোহিনী ভাৰ্য্যা ছিল, তিনি তাহাকে