পাতা:লক্ষটাকা - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NO8 লক্ষ টাকা স্বামী যে কি কাণ্ড করিয়াছে, তাহাও সব প্ৰকাশ হইয়া পড়িবে। এখন উপায় ? তুলসী বাঈ মৃচ্ছা যাইবার অজুহাতে জাহাজের ডেকের উপরে পড়িয়া বহুক্ষণ ধরিয়া ভাবিতে লাগিল, এখন কি করা উচিত। সহসা সে কি একটা মৎলব ঠিক করিয়া সবেগে উঠিয়া বসিল। পলানই উচিত ; নতুবা পুলিসের হাতে পড়িলে সকল কথাই প্ৰকাশ হইয়া পড়িবে। যখন সকলে ভাবিতেছিল যে, সে অজ্ঞান হইয়া আছে, সেই সময়ে তুলসী বাঈ ধীরে ধীরে নিঃশব্দে চারদিকে চাহিতে চাহিতে জাহাজ হঠতে নামিয়া পলাইল । তাহার সৌভাগ্যক্রমে কে ই ঈ তাহাকে দেখিতে পাইল না। সে সহরে অন্তহিত হইল । তুলসী বাঈ জাহাজ হইতে পলাঠিয়া সেই রা েদ্রাহ তাহার মানবের বাড়ীতে উপস্থিত হইল । হারকিষণ দাস ঠিক পোর - বন্দর সহরে বাস করিতেন না ; সাহির হইতে প্ৰায় পাঁচ ক্রোশ দূরে তঁহার বাড়ী।। তাহার বাড়ীর চারিদিকেই বিস্তুত শাস্তক্ষেত্র, এ সমস্তই তঁহার - অনেক লোকজন লঙ্কয়াহ তাহার কার কারবার । সংসারে তঁাহার সম্বল একমাত্র কন্যা-হিঙ্গন বাঈ । বহুদিন হইল, হারকিষণ দাসের স্ত্রীবিয়োগ হইয়াছে,তিনি পিতা হইয়া মাতৃস্নেহ ঢালিয়া হিঙ্গনকে মানুষ করিয়াছেন । হিঙ্গনের এখন প্ৰায় ষোড়শ বৎসর বয়স হইয়াছে। হিঙ্গন সর্বাঙ্গ সুন্দরা-ঝলমলে রূপ ; যে একবার তাহাকে দেখে, সহসা অন্যদিকে চক্ষু ফিরাইতে পারে না-লাবণ্যপ্রবাহে তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ অভিসিক্ত। তাহার বয়স ষোড়শ হইলেও অতি শৈশবের অমান লাবণ্যটুকু যেন তাহাকে এখনও পরিত্যাগ করিতে পাবে নাই ; মুখখানিতে তাহা যেন এখন ও ফুটিয়া আছে। সেই চাঞ্চল্যপূৰ্ণ শৈশবের চায় এখনও তাহার চক্ষু কথায় কথায় হস্তচ্ছটািয় নাচিয়া উঠে। এখনও,