পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বজরায় | ১৮৯ প্রসিদ্ধ হইলেও, সমগ্র ভারতবর্ষের শাসনভার ইহার হস্তে গুস্ত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না !” এও এক প্রহেলিকা ! ত্রিলোচন বসু এ নাম কখনও শুনেন নাই। নবদ্বীপাধিপতির রাজ্যের মধ্যে প্রবেশ করিয়া এরূপ স্পদ্ধার কথা কেহ যে কখনও বলিতে পারে, ইহাও তিনি আশা করেন নাই। যাহা হউক, ত্রিলোচন জিজ্ঞাসা করিলেন,—“বঙ্গদেশে মহারাজের আগমনের উদেশ্ব আমায় জানাইতে আপত্তি আছে কি ?” বিশ্বেশ্বর। --“আপনাকে জনাই তে আপত্তি ! অপত্তি থাকিলে আপনাকে আমরা এ বজরায় আনিতে যাইব কেন ?" ত্ৰিলোচন। —“যদি আপত্তি না থাকে, বলিতে পারেন ।” বিশ্বেশ্বর –“বলিব বলিয়াই তো আপনাকে এ বজরায় অনিয়াছ । শুভক্ষণে আপনার সাক্ষাৎকার ঘটিয়াছে। রাজ। লক্ষ্মণ-সেন কিরূপ অত্যাচারী হইয়াছেন, আপনার বোধ হয়, এখন আর অবিদিত নাই । এখানে প্রঞ্জামাত্রেই তাতার প্রতি বিরক্ত । দেশের আভ্যন্তরীণ অবস্থা এই। পারিপাশ্বিক শক্ররও অসদ্ভব নাই । অন্যায় সমরে মিথিলা অধিকার করিয়া, তিনি মিথিলার অধিবাসিগণকে বিরক্ত করিয়া তুলিয়াছেন। কাশী-রাজ্যও রাজা লক্ষ্মণ-সেনের প্রতিকূলাচরণে বদ্ধপরিকর। আপনি কারাগারে আবদ্ধ ছিলেন ; এ সকল সংবাদ অনেকই অবগত নহেন । কিন্তু নিশ্চয় জানিবেন — লক্ষ্মণ-সেনের রাজ্য আর রক্ষা হয় না। আপনার ন্যায় হিতৈষীর প্রতি তাহার দুৰ্ব্ব্যবহার –ইহাতেই বুঝুন না কেন, রাজা লক্ষ্মণসেনের কিরূপ মতিচ্ছন্ন ঘটিয়াছে।’