পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঙ্গার ঘাটে । २०१ আগন্তুক কমলমণির নাসাগ্রে সন্ন্যাসী-প্রদত্ত শিকড়টা ধারণ " করিলেন। সেই শিকড়ের ভ্রাণ-গ্রহণে মুহূৰ্ত্ত-মধ্যেই কমলমণির অবস্থা একটু পরিবর্তিত হইল ;–র্তাহার জ্ঞান-সঞ্চারের লক্ষণ প্রকাশ পাইল । রায় মহাশয় নাড়ী দেখিয়াও কমলমণির স্বচ্ছন্দতার বিষয় বুঝিতে পারিলেন। আগন্তুক কহিলেন,-“এই দেখুন, অবস্থা কত পরিবৰ্ত্তিত । চলুন, আমি উইকে ক্রোড়ে লইয়। কুটিরে রাখিয়া আসি " | আপত্তি জানাইবার ইচ্ছা থাকিলেও রায় মহাশয় কোনরূপ * আপত্তি জানাইতে পারিলেন না। রায় মহাশয় সমভিব্যাহারে কমলমণিকে লইয়া, আগন্তুক কুটিরে পৌঁছিয়া দিলেন। কমলমণি সম্পূর্ণ মুস্থ হইয়া উঠিলেন। আগন্তুক প্রস্থান করিলেন। রায়-গৃহিণী ও রামদাস যখন দুই চারি-জন আত্মীয়কে সঙ্গে লইয়া নদীর তীরে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন, তাহাজের বিস্ময়ের অবধি রহিল না। কমলমণি পুনর্জীবন লাস্ত করিয়াছেন দেখিয়া, র্তাহারা বড়ই আশ্চর্য্যাম্বিত হইলেন । - পাগলা সন্ন্যাসী আসিয়া মৃতের জীবন-দান করিয়া গিয়াছে, প্রভাতে সহরময় সেই কথা রাষ্ট হইয়া পড়িল ।

  • , ,

পঞ্চচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ । Ο গঙ্গার ঘাটে । শ্মশান হইতে মরণ-মানুষ বাচিয়া আসিয়াছে ; আর পাগল। সন্ন্যাসী তাহাকে বাচাইয়াছে ;-বায়ু-বিচালিত অগ্নি-স্ফুলিঙ্গের