পাতা:লক্ষ্মণ-বর্জন.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዝwbo লক্ষণ-বর্জন । শেষ হইতেছে। তোমাকে কিৰূপে পরিত্যাগ করিব ? বৎস! ইহা চিন্তা করিয়া, সমধিক আকুলিত হইতেছি । আমি কহিলাম, মাতঃ ! আমাকে পরিত্যাগ করবেন ; ভালই, কিন্তু সুৰ্য্যবংশের প্রতি আপনার যে অটলস্নেহ আছে, তাহা যেন, কদাচ বিচলিত না হয় । এই সকল কথাবাৰ্ত্ত হইতেছে, ইতোমধ্যে সেই নিশীথ সময়ে, যেন শত স্থৰ্য্য প্রকাশের ন্যায়, চতুর্দিক সমুজ্জ্বল হইল। গগণমণ্ডলের মধ্যস্থলে ফাটিয়া, প্রজ্জ্বলিত অনলকুণ্ডের ন্যায়, এক জোতিৰ্ম্ময় পদার্থ নিৰ্গত হইল । দেখিতে, দেখিতে, সেই আলোকময় পদর্থের মধ্যস্থল হইতে এক তেজোময় পুরুষ বহির্গত হইলেন ; তিনি ক্রমশঃ পৃথিবীর নিকটবৰ্ত্তী হইতে লাগিলেন ; মুহূৰ্ত্ত পরে আমাদের সমীপবৰ্ত্তী হই- “ লেন। তঁহার আগমনে অযোধ্যাপুরী যেন কঁাপিতে লাগিল । তৎপরে, আমাদের নিকট উপস্থিত ইয়। লক্ষণের হস্তধারণপূর্বক, পুনৰ্ব্বার আকাশ মগুলে গমন করিতে লাগিলেন । অামি কাতর হইয়া, কাদিতে লাগিলাম। অনেক অনুনয় করিলাম, কিন্তু তিনি যে কে, কি জন্য লক্ষণকে লইয়া । যাইতেছেন, কিছুই জানিতে পারিলাম না।