পাতা:লক্ষ্মণ-বর্জন.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ২ লক্ষণ-বর্জন । আমার অদৃষ্টের দোষ, নতুবা রাম তোমারে যে প্রকার স্নেহ করিয়া থাকেন, তিনি যে তোমাঞ্জে । নয়ন-তারকার ন্যায় এক তিলও নয়ন ছাড়া করিতে । পারেন না। যদি আমার কপালের দোষ না হইবে, তবে এমন ঘটনা উপস্থিত হইবে কেন ? বাছা! আমি নিশ্চয়ই বুঝিতেছি, রাম আমার নিতান্তই নিরুপায় হইয়া তোমাকে পরিত্যাগ করিতেছেন। আমি জানি, স্নেহ, দয়া, মমতা ও ভ্রাতৃ-বৎসলতায় র্তাহার মন পরিপূর্ণ। রামচন্দ্রের অমানুষ প্রকৃতি সুলভ কমনীয় শ্রুতি-মধুর মাতু-সম্ভাষণ শ্রবণ করিলে, অন্তঃকরণে প্রভূত প্রীতি সঞ্চারিত হইয়া, আমার সর্বশরীর সুধারসে পরিপ্লুত হয়। আমি রামের সারল্য-পূর্ণ সুমধুর মুৰ্ত্তি অবলোকন করিলে, একেবারেই মোহিত ও চমৎকৃত হই । বৎসরে ! রামের আজ্ঞারক্ষা, ধৰ্ম্ম ও সত্য রক্ষা করা তোমার উচিত, কিন্তু বৎস ! আমাকে সঙ্গে লইয়! যাও ; যদি ইহাতে দ্বিরুক্তি কর, এখনই তোমার সাক্ষাতে আত্মঘাতিনী হইব। কৌশল্য, করুণস্বরে কহিতে লাগিলেন, বৎস লক্ষণ ! আমিও যাইব ; যদি কোন আপত্তি কর. এখনই প্রাণ ত্যাগ করিব । লক্ষণ কাতর হইয়া, বলিতে লাগিলেন, মাতঃ.!