পাতা:লক্ষ্মণ-বর্জন.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । Nう> তোমার বিহনে এই রাজভবন শ্ৰীহীন ও সম্পত্তি বিহীন বলিয়া বোধ হইতেছে । তোমার অভাবে আমার সোনার বাছার যে দুৰ্গতি ঘটিয়াছে, তাহাত তুমি দেখিতে পাইতে ছ না । হা কৌশল্যাজীবন ! তোর জননীর জীবনের অবসান হইল। বৎসরে! উঠ উঠ । বোধ হয়, আর মুহূৰ্ত্ত মাত্রও যে তোমার ঈদৃশী অবস্থা দেখিতে পারি না । বাছা ! আমার অতি কঠিন প্রাণ বলিয়াই এখনও বহির্গত হয় নাই । রামরে । রাজভবনের কেহই এই কয়েক দিন, অন্য ভক্ষ্য বস্তু দুরে থাক, এক বিন্দু জলও মুখে দেয় নাই। বৎস! তোমার তনয় দুটা মা বিনা আর কিছুই জানে না ; যজ্ঞস্থলীতে জননীর মৃতু্য অবধি তাহার। হাহাকার করিয়া রোদন করিতেছে । আমরা কিছুতেই সান্থনা করিতে পারিতেছি না। রামরে । তাহার যে নিতান্ত শিশু ; অনাহারে, অতি শোকে, আর কতক্ষণ জীবিত থাকিবে ? বৎসরে ! উঠ উঠ । মধ্যে মধ্যে রামের চেতনার সঞ্চার হইতেছে । প্রথমবার চেতনাগমে, অতি দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ সহকারে নয়ন উন্মীলন করিলেন । হা জীবিতেশ্বরি!