পাতা:লক্ষ্মণ-বর্জন.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । షిరి 5 জানকি ! তোমার আকৃত্রিম প্রণয় কি জীবন সত্বে বিস্মৃত হইতে পারিব ? যখন আমি পিতৃ আজ্ঞা প্রতিপালনে কাননে গমন করিয়ছিলাম, তখন যে তুমি সৰ্ব্বসুখ পরিত্যাগ করিয়া, আমার অনুগামিনী হইয়াছিলে ? বন চারিণী হইয়া কি না ক্লেশ ভোগ করিয়াছিলে ? তেমন যে ৰূপ লাবণ্য একেবারেই অন্তৰ্হিত হইয়াছিল। দেহের কমনীয়তাও কিছুমাত্র ছিল না ; তবু একটা দিনও স্বকীয় ক্লেশকে কিছুমাত্র ক্লেশকর বোধ কর নাই । নিরন্তর আমার নিমিত্তেই রোদন করিতে । পরিশেষে দুৱৰ্ত্ত দশানন হরণ করিয়া, কত যন্ত্রণ ও কতই ক্লেশ দিয়াছিল । বেত্ৰাঘাতে বোধ হয়, তোমার মাংসপেশী সকল শিথিল হইয়া গিয়াছিল। তবু একটী দিনও আমার কিছু মাত্র নিন্দ কর নাই । নিরন্তর আমার উদেশে রোদন করিয়াছিলে । হা প্রিয়ে ! আজি যে আমার শোক-সিন্ধু একেবারেই উথলিয়া উঠিতেছে। ভূত পূৰ্ব্ব আচরণ সকল স্মরণ হইতেছে। হায়! আমি যদি রাজ্য সুখ পরিত্যাগ করিয়া, এমন পতিছিতৈষিণী প্রণয়িনীর সহিত চির বনবাসী হইতাম, সেও আমার অশেষ সুখের ও মঙ্গলের কারণ হইত । প্রিয়তমে। উদ্ধার করিয়া আমিই বা কি অনুকুলা