পাতা:লক্ষ্মণ-বর্জন.pdf/৬১

8b" লক্ষণ-বর্জন । শোক-ভার বহন করিতে থাকিলাম । কিন্তু মরণই আমার এক্ষণে নিতান্ত অভিলষনীয় । যদি আমার প্রতি তোমার কিছুমাত্র ভক্তি, শ্রদ্ধা, মমতা থাকে, তবে প্রসন্ন মনে আমার মরণে অনুমোদন কর । আমি সৰ্ব্বসন্তাপ ও বিপদময় যন্ত্রণ। হইতে নিস্কৃতি পাইয়৷ শীতল হই । লক্ষণ কছিলেন, আর্য্য! সীতা শোকই যদি আপনার জীবন বিনাশের কারণ হয়, আপনি নিশ্চয়ই জানিবেন, এই বিপুল সুর্য্য বংশের কেহই জীবিত থাকিবে না। কালের বশবৰ্ত্তী হইয়া, যদি স্বাভাবিক কারণ বশতঃ জীবন-বায়ু বহির্গত হয়, তাহা হইলে আর এত কন্টের কারণ হয় না। কিন্তু যদি শোক-সন্তপ্ত হইয়া, আপনার জীবন যায়, তবে সে দুঃখ কাহারও প্রাণে সহ্য হইবেক না । ভগবন ! যে বিষয়ের যতই অনুধ্যান করা যায়, সেই বিষয়ে মন ততই আকৃষ্ট হয়, আপনি যতই শোকের অনুশীলন করিবেন, ছুর্বিষহ শোক আপনার মনকে ততই আকর্ষণ : করিয়া, একেবারেই অভিভূত করিবে। এক্ষণে । অামার নিতান্তই অভিলাষ যে, অন্যান্য বিষয়ে মনঃ সংযোগ করিয়া, ক্রমেক্রমে শোক সংযত করুন।