পাতা:লক্ষ্মণ-বর্জন.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । 63. হইয়াছেন। ভ্রাতঃ ! আমি কি প্রিয়াকে কোন দিন আমোদিনা করিতে ইচ্ছুক হইয়াছিলাম ? হা প্রিয়ে । আজ যে হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে । দেখ দেখ ! কুলবধুর হৃদয় বিদারক শোচনীয় পরিণাম অবলোকন করিয়া, আর্য্যা নলিনী বিষাদ বদন হইয়াছেন । লক্ষণ ! আমার কি কঠিন প্রাণ ! ভাই ! আরকি পৃথিবীতে সুখ আছে, যে, আমাকে সুখী করিবে ? আমি যে দিকে চাই, স্বভাবে যে চারিদিকে যেন সন্তাপ ও দুঃখ মাথান । ভাই ! আমার নয়নের সুখ দর্শনের শক্তি বিনষ্ট হইয়া, কেবল দুঃখ দর্শনের পথই পরিষ্কত হইয়াছে। ভ্রাতঃ ! যেমন বীজ হইতে বৃক্ষের উৎপত্তি হয়, তুষার হইতে জলের উৎপত্তি হয়, তেমনি এই শোক হইতে আমার বিনাশের উৎপত্তি হইবে । আর যেমন শটিত-শব হইতে গন্ধের উদ্ভব হইয়া, বায়ু সহকারে চতুর্দিকে বিক্ষিপ্ত হয়, তদনুৰূপ আমার এই নিদারুণ কার্য্য হইতে অযশঃ-দুগন্ধ উৎপন্ন হইয়া, বাক্য সহকারে দিগন্তব্যাপী হইবে । এই ৰূপে, লক্ষণ অন্যান্য বিষয় উপস্থিত করিয়া, শোক সংযম করণ মানসে সরযু-কুলে উপস্থিত হইলেন। সরযু তীরে শিলাখণ্ডে ভ্রাতৃদ্বয় উপবিষ্ট