পাতা:লক্ষ্মণ-বর্জন.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ লক্ষণ-বর্জন। সুচ্যগ্রবর্তী বিষে শরীর ক্ষয় করিবে ; সামান্য কারণ ও যে সৰ্ব্বনাশের হেতু হইবে । লক্ষণকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, প্রাণের ভাই লক্ষণ ! আমি এবহুপ্রকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়া, ভগবানের সহিত কথ। কহিতে প্রবৃত্ত হইলাম। ভাই ! ! তোমার বুদ্ধি কৌশলে আমি সকল বিপদ হইতে মুক্ত হইয়াছি ; সতর্কত। পূর্বক দ্বার রক্ষা করিবে, দেখ ! যেন কেহ জীবন সমর্পণ করিতে আমার নিকটে উপস্থিত না হয় । লক্ষণ প্রস্থান করিলে, রামের আগ্রহাতিশয় অবলোকন করিয়া, সন্ন্যাসী কহিলেন, মহারাজ ! নশ্বর পদার্থে পৃথিবী পরিপুর্ণ, তদুৎপন্ন সুখও ক্ষণ ভঙ্গুর। সংসার মমতায় মুগ্ধহইয়া, এমন কোন কার্য্যের অনুষ্ঠান করা ষাইতে . পারে না, যে অনন্তকালেও তজ্জনিত ফলভোগ করা যায় । মহারাজ ! পার্থিব সুখে মন যতই অনুরক্ত হইবে, নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি প্রবল হইয়া, মনকে ততই বশীভূত করবে। সংসারে সতর্কত। পূৰ্ব্বক পাপ-বিবর্জিত পথে থাকিব বলিয়া, যদি প্রতিশ্রুত হওয়া যায়, তবু অলক্ষ্যে শত শত ছিদ্রে যে পাপ পিশাচ মনোমন্দিরে প্রবিষ্ট হয় ; তাহ কেহই । জানিতে পারে না। সংসারের মধ্যে অনেকেই অামা