পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

লণ্ডনে বিবেকানন্দ বেশ প্রফুল্ল। সারদানন্দ স্বামী ও বর্তমান লেখক দেওয়ালের নিকট বসিয়া আছেন। স্বামীজী কখনও চেয়ারে বসিতেছেন কখনও বা টেবিলের দিকে পায়চারি করিতেছেন। স্বামীজী মৃদু মৃদু হাসিতে হাসিতে সারদানন্দ স্বামীকে বলিলেন, “ওরে শরৎ, দেখলি তাে তাের কলিকাতার ঢের হােড়া চোড়া লােক যারা এখানে আসে তাদের কিন্তু কেউ পোঁছে না। ডিউরা কি তাদের সঙ্গে খায় রে। অনেক সুপারিশ নিয়ে গেলে তবে তাদের সঙ্গে দেখা করে। আর দ্যা আমাকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে খাওয়াচ্ছে। আমি হচ্ছি teacher class (শিক্ষক), তাই আমাকে সম্মান করে। আমি ইংরাজগুলাের মত ধনী, মানী, জ্ঞানী—সবার মাথায় পা দিয়ে চলি। আর দেখছিস্ তাে এরা জুজুবুড়ি হয়ে আমার সম্মুখে থাকে। এদের হাড়ে হাড়ে বেদান্ত ঢুকিয়ে দিয়ে যাচ্ছি; এখন থেকে এরা ইণ্ডিয়াকে অন্য চক্ষে দেখবে, সম্মান করে ইণ্ডিয়ার কথা শুনবে” এই বলিয়া মৃদু মৃদু হাসিতে লাগিলেন। বেলা দেড়টা দুটোর সময় স্বামীজী ফক্সকে বলিলেন, “দূর, রােজ রােজ একঘেয়ে খাওয়া যায় না। ফক্স, চ—দুজনে গিয়া একটা হােটেলে খেয়ে আসি” এই বলিয়া দু’জনে বাহিরে খাইতে চলিয়া গেলেন। গরমকাল-একটা বাক্স করে আম আসিল। মিস্ মুলারকে ভারতবর্ষ হইতে কে একজন বাক্স করে আম পাঠিয়ে দিয়েছে। বাক্সের গায়ে হাওয়া যাইবার জন্য ফুটো ফুটো দাগ করে দিয়েছে এবং প্রত্যেক আমটি কাগজ মুড়ে থাকে থাকে বাক্সের ভিতর সাজিয়েছে। আসিতে প্রায় মাসাবধি হইয়াছে, এইজন্য আমগুলি তুবড়ে তুবড়ে গিয়াছে ; তেমন আর স্বাদ নাই। স্বামীজী গুডউইনকে বলিলেন, “গুডউইন, খানিকটা বরফ এনে আমগুলােকে ভিজাইয়া দাও ত, তা হলে আমার কিছু স্বাদ হবে।” ১০৮