পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লণ্ডনে বিবেকানন্দ জিনিস আশ্চৰ্য্য হইয়া দেখিতে লাগিলেন। অবশ্য কিছুকাল থাকিলে এসব জিনিষ অভ্যস্ত হইয়া যায় তখন আর কোন বিস্ময় থাকে না এবং কয়েক বৎসর পর নিজের দেশে আসিলে নিজের দেশের জিনিস প্রথম দিনকতক নূতন নূতন বলিয়া বােধ হয়। ইহাই মনের স্বাভাবিক গতি, হাস্য করিবার কিছুই নাই। ঘরের তৈজসাদি সব রূপার, প্রথম শ্রেণীর কাফি হােটেল—এই জন্য অপর কোন নিকৃষ্ট ধাতু ব্যবহৃত হয় না । ছােট একটা ডিমের ন্যায় ছােট বাটীতে করে চিকরি মিশান কাফি দিলে, সঙ্গে ফুল-কাটা একটু করিয়া মাখন, ছােট একখানি Roll বা মচমচে পাউরুটি-মেনন মাদ্রাজী, কাফি খাওয়ার জাত, র ঠোঁট ভিজিল না, গজগজ করিয়া বকিতে লাগিল। দাম চাহিল প্রত্যেকের ৫ শিলিং করিয়া ১০ শিলিং—তখন ১৯ টাকা পাউণ্ড, ১০ শিলিং অর্থাৎ ১০ টাকা—এইত মেনান চটিয়া গেল। বৰ্তমান লেখক বলিলেন, “ওহে বাবু, চট কেন, কালা আদমি, ঘরে ঢুকতে দিয়েছে এই যথেষ্ট, ঘরটার ব্যাপার কি দেখে যাচ্ছ এই জন্য আক্কেল সেলামি দিলে,” এই বলিয়া হাসি মাসাতে উভয়ে চলিয়া আসিলেন; লণ্ডনে অনেক ইংরেজ পরিবার প্রাতঃভােজনের সহিত কাফি খাইয়া থাকে এবং অপরাহ্বে চা পান করিয়া থাকে এই জন্য নানা দেশে কি করিয়া কাফি প্রস্তুত করিয়া থাকে সংক্ষেপে তাহার কিছু বর্ণনা করা যাইতেছে। ইংরাজ রমণীরা কাফির জলটা বেশ গরম করিয়া থাকে এবং তাহাতে গুড়াে কফি দিয়া অল্প পরিমাণে ফুটায়, ও তাহার পর দুধ চিনি মিশাইয়া জলটা ছাকিয়া বড় বড় বাটি করিয়া কাফি খায়, ইহাকেই ইংরাজি কাফি বলে। রায়ার কার্যে মেয়ের সিদ্ধহস্ত। কাফির ভিতর একটা তেল আছে, সেটা বেরুলে সুগন্ধ হয়, জলটা কত গরম হইবে, কি পরিমাণে কাফির গুঁড়াে দিতে হইবে এবং কতক্ষণ গরম জলে কাফি