পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লণ্ডনে বিবেকানন্দ লাগিলেন। একস্থানে লেখা ছিল, “হরমােহনের মিত্রের স্ত্রী মারা গিয়াছে।” এইকথা শুনিয়া বর্তমান লেখক সহসা বলিয়া উঠিলেন, “এটা সুখবর! এটা সুখবর !! স্বামীজী একটু বিরক্ত হইয়া বর্তমান লেখককে বলিলেন, “একজন ম'রে গেল আর তুই বলছিস্ সুখবর?” বৰ্তমান লেখক বলিলেন, “হরমােহনের স্ত্রী কষ্ট থেকে বেঁচেছে। এখন হরমােহন তার ছেলেপুলে নিয়ে বুঝুকগে যাক্‌-বউটা তােত অব্যাহতি পেলে।” এই বলিয়া হরমােহন যে ঘর-সংসার না দেখিয়া কেবল হুজুগ করে হৈ হৈ করে বেড়াত সেই সমস্ত কথা স্বামীজীকে বলিতে লাগিলেন্ এবং বর্তমান লেখক আরও বলিলেন যে, হরমােহনের স্ত্রীর অসুখ করলে হরমােহন ফিরেও দেখতাে না। একদিন আলমবাজারের মঠ থেকে দীন বুড়াে এসে হর- মােহনকে খুব ধমক দিয়ে বলে গেলেন, “যদি হরমােহন স্ত্রীর চিকিৎসার বন্দোবস্ত না করে তাহলে তিনি আসিয়া চিকিৎসা ও শুশ্রুষার বন্দোবস্ত করিবেন। স্বামীজী সারদানন্দ স্বামীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “দীন বুড়ো আবার কে জুটলাে রে ?” তখন সারদানন্দ স্বামী দীন বুড়াের সমস্ত ঘটনা বলিতে লাগিলেন। স্বামীজী সমস্ত শুনিয়া একটু খুসী হইয়া বলিলেন, “যা হােক এখন দু'একটা লােক মঠে আছে তাে।” চিঠি পত্রের কথা সমাপ্ত করিয়া স্বামীজী কলিকাতার কথা তুলিলেন। কলিকাতার লােকের হাব-ভাব এবং তাহারা স্বামীজীর কাৰ্য্য কিরূপ ভাবে লইতেছেন সেই সকল বিষয় জিজ্ঞাসা করিলেন। নরেন সেন যে তাহার পক্ষ লইয়া “ইণ্ডিয়ান মিররে” খুব লিখিতেছেন সেই কথা শুনিয়া স্বামীজী বিশেষ আনন্দিত হইলেন। তাহার পর স্বামীজী জিজ্ঞাসা করিলেন, এন, ঘােষের ভাবগতিক কিরূপ? সারদানন্দ স্বামী বলিলেন, “এন, ঘােষ তাঁহার “নেশন” পত্রে প্রথম দু'একবার বিরােধীভাব প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু তাহার পর স্বামীজীর পক্ষ লইয়া খুব জোর কলম লিখিতে আরম্ভ ১৬