পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লণ্ডনে বিবেকানন্দ করিয়াছিলেন। যখন নিজেরা অর্থাৎ বঙ্গভাষীরা থাকিতেন তখন বাঙ্গালায় কথাবার্তা হইত কিন্তু মিস্ মূলার বা ষ্টাড়ি ঘরে ঢুকিলেই তখন ইংরেজীতে কথাবার্তা হইতে থাকিত। কারণ সকলে ইংরেজদের কথাবার্তা কথাবার্তা কহিয়া আনন্দ উপভােগ করিবে আর কহিবার প্রথা। একজন ভাষা না জানার জন্য নিরানন্দ ভাবে বসিয়া থাকিবে ইহা ভদ্র সমাজের নীতি-বিরুদ্ধ। এইজন্য সকলের বােধগম্য ভাষায় কথাবার্তা বলা উচিত। স্বামীজী এ বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখিতেন এবং অপর কেহ ঘরে ঢুকিলেই ইংরেজীতে কথা কহিতেন। বৈঠকখানা ঘরটি মাঝারি রকমের ছিল, নিতান্ত বড় বা ছােট ছিল । মেঝেতে তক্তাপাতা—তাহার উপর বান্দার মাদুর পাতা। মাদুরগুলি পর পর সেলাই করিয়া সমস্ত ঘরের মেঝেটি মােড়া হইয়াছে । আহারের সময় ডাকিবার জন্য ছােট একখানি কাসর ছিল এবং তাহা বাজাইবার জন্য একটি রবারের গুলাে দেওয়া কাঠী ছিল। লণ্ডনে অনেক বাড়ীতে ঘণ্টার পরিবর্তে ছােট ছােট কঁসর বাজানর এক প্রথা ছিল। কসরটি বাজাইলে সকলে বুঝিতে পারিতেন যে আহারের সময় হইয়াছে। ঘরে বসিবার জন্য বেতের ও বাঁশের মােড়া চেয়ার ও সুখাসন ( sofa- clair) ছিল, তাহার উপর লম্বা লম্বা পশমওয়ালা চামড়া বা পাতলা পাতলা বালিসের মত গদি পাতা ছিল। ঘরের যেখানে আগুন জ্বালান হয় অর্থাৎ আতসিখানা ( Pire-place) সেখানে একখানি মির্জাপুরী পশমওয়ালা গাচে ছিল। জিনিসগুলি অধিকাংশ ভারতবর্ষ-জাত। লণ্ডন সহরের পূৰ্ব্বসীমান্ত পল্লীতে ঐ সকল জিনিসের আড়ৎ আছে, তথায় বহু পরিমাণে বাঙ্গলা দেশের মাদুর ও মির্জাপুরী গাচে বিক্রয় হইত। সময়টা যদিও বসন্তকাল কিন্তু কলিকাতার পক্ষে বেশ ঠাণ্ডা মনে হইতে লাগিল। পর দিবস স্বামীজী, মিস্ মূলার, সারদানন্দ স্বামী ও বর্তমান ২০