পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

আমি তাহাকে গুডউইনের ঠিকানা দিয়া তাহার মাতার সহিত দেখা করিতে অনুরােধ করি। ইচ্ছা ছিল, সেই সমস্ত কাগজপত্র পাওয়া গেলে কোন বিশিষ্ট আমেরিকান ক্ষিপ্রলিপি-কোৰি দিয়া পুস্তকাকারে প্রকাশ করিব ; একজন আমেরিকান ভক্তও সমস্ত ব্যয়ভার বহন করিতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন। নিবেদিতা ইংলণ্ড হইতে ফিরিয়া আসিয়া বলেন যে, গুডউইনের বৃদ্ধা মাতা ও ভগিনীদ্বয় অপর কোন স্থানে চলিয়া গিয়াছেন, তাঁহাদের কোন ঠিকানা পাওয়া যায় না। এইজন্য গুডউইন লিখিত সমস্ত কাগজপত্র নষ্ট হইয়া যায়। স্বামীজী যখন লণ্ডনে বক্তৃতা দিতেন তখন. নার্সের পরিচ্ছদে একটী স্ত্রীলােক আসিয়া স্বামীজীর দিবাভাগের বক্তৃতা সমূহ ক্ষিপ্রহস্তে লিখিয়া লইতেন। তিনি আমাদের সহিত কখনও মেশেন নাই বা আমরা কেহ তাহার ঠিকানা জানিতাম না ; তাহার কাছে স্বামীজীর অনেক বক্তৃতা থাকিতে পারে কিন্তু তাহা পাওয়া দুরাশার বিষয়। | এই সকল কারণে বহু লােকের অনুরােধে আমি এই গ্রন্থ প্রণয়ন করিতে প্রয়াসী হই। আমার যতদূর স্মরণ আছে এবং যাহা নিভুল ও সত্য বলিয়া স্মরণ আছে সেই সকল বিষয় কিঞ্চিৎ আভাষস্বরূপ এই গ্রন্থে প্রদত্ত হইল, ইহাতে আমার নিজের মত বা ভাব কিছুই সন্নিবেশিত হয় নাই। যে সকল বিষয় আমার অস্পষ্ট স্মরণ হইয়াছে তাহার উল্লেখ করিয়াছি এবং পাদটীকায় ব্যাখ্যা স্বরূপ কিঞ্চিৎ দীপিকা করিয়া দিয়াছি। গুডউইনের লিখিত কাগজের সহিত এই গ্রন্থ তুলনা করিলে হিমালয় পৰ্ব্বতের সহিত বালুকণার যে সম্বন্ধ ইহা তজপ হইবে। তবে কিছু না থাকা অপেক্ষা অল্পমাত্র আভাষ ইঙ্গিতও ভাল সেইজন্য যৎ সামান্য এই স্থলে লিপিবদ্ধ করা হইল। স্বামীজী উপদেশকালে দেড় ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা অনর্গল বলিয়া যাইতেন এবং অনেক গ্রন্থ উল্লেখ করিয়া