পাতা:ললিতাসুন্দরী ও কবিতাবলী - অধরলাল সেন.pdf/২৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ললিতাসুন্দরী।
১৯

তেমনই ললিতের উদার হৃদয়ে
রাজিত শৈশব রূপ সমুজ্জল হ’য়ে।
পড়িল পৃথিবী ছায়া শশীর উপর,
লুকাইল স্থধাময় কিরণ নিকর;
ললিতেরো অন্তরেতে নবীনা মুরতি
আবরিল শৈশবের প্রেমিকার জ্যোতি।
রাজে নব প্রতিবিম্ব শশীর উপর,
রাজে নব প্রতিবিম্ব হৃদয় ভিতর;
সেই প্রতিবিম্ব দেয় শ্যামিকা অবনী,
রূপসী ললিতা দেয়—পরের রমণী।

১৬

একদা শৈশবে শিশু কুসুম শয়নে
যখন খেলিতেছিল কুসুমের সনে;–
এ ফুল ও ফুল ল’য়ে প্রমোদ ক্রীড়ন,
অধরে মধুর হাসি, প্রভাত কিরণ;
চটুল নধর তনু দেখিতে সুন্দর,
নীল বেশে শোভা পায় কুসুম উপর;–
তখন আসিয়ে সব অমর সুন্দরী,
হাসি হাসি সে বালকে প্রদক্ষিণ করি,