পাতা:ললিতাসুন্দরী ও কবিতাবলী - অধরলাল সেন.pdf/৫১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ললিতাসুন্দরী।
৪৩

কত দিন বুক ফাটে এমন সময়
ফিরিয়ে এসেছি, হায়, বিকল হৃদয়!
সকলি মধুর প্রেমে সকলি সরস,
না হইতে হ'ত যদি বিরহ-বিবশ!

কে জানিত সুধার্ণবে উঠিৰে গরল?
কে জানিত সকণ্টক কোমল কমল?
কে জানিত রমণীর কপট হৃদয়?
কে জানে বিরহে বাঁধা সাধের প্রণয়?

৩৫

পঞ্চাল-কুমারী কৃষ্ণা বিরাট-ভবনে,
ত্যজিয়া রজনী মাঝে পাচক-সদনে,
যেমন ফিরিয়াছিল, তেমনি ললিতা
ফিরিল কানন হ’তে প্রেম-বিষাদিতা।
সরোব-অন্তরে দুখে ভীম বীরবর
করে ছিল পণ, ধরি প্রেয়সীর কর,
নাশিতে কীচক দুষ্ট লম্পট-হৃদয়,
পাঞ্চালীর কণ্টকের করিতে বিলয়;
তেমনি করিল পণ ললিত কুমার,
ফিরিলি সরোষ-চিতে বিষাদ-আঁধার।