পাতা:ললিত সৌদামিনী - তারক নাথ.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r পঞ্চম পরিচ্ছেদ। ১৯ ক্রীড়া করিতেন। কিন্তু ললিত কলিকাতা ত্যাগ করিয়া গেলে কেশবের পক্ষে একাকী থাকা অতিশয় দুরূহ ব্যাপার হইয়া উঠিল। তাহার স্ত্রী পাক শাক ও অন্যান্য গৃহ কার্য্যে সৰ্ব্বদা ব্যাপৃত থাকিতেন, কেশবের নিকট বসিয়া কথোপকথন করেন এরূপ অবকাশ পাইতেন না। ললিতের গমনের পর প্রথম দিবস কেশব কোন রূপে কাটাইয়া দিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিবস আর নিষ্কৰ্ম্ম থাকিতে পারিলেন না । একখানি পুস্তক পড়িতে আরম্ভ করিলেন । মনে করিয়াছিলেন দুই এক পৃষ্ঠা পড়িয়াই ক্ষান্ত থাকিবেন, কিন্তু তাহার দুর্ভাগ্য বশত: পুস্তক খানি এতই ভাল লাগিল যে তাহা শেষ না করিয়া রাথিতে পারিলেন মা। প্রাতঃকালে ৮ট ৯টার সময় আরম্ভ করিয়াছিলেন, আর রাত্রি দশটার সময় শেষ হইল। গিরিবাল পুনঃ পুন: নিষেধ করিলেন, কিন্তু কেশব তাহার কথা শুনিলেন না। কহিলেন “কোন কষ্ট বোধ হচ্চে না তবে কেন না পোড়ব । আর কত কালই বা চক্ষ থাকতে অন্ধের মত বসে থাকব !” সংক্ষেপত: কেশব স্ত্রীর কথা শুনিলেন না । পুস্তক খানি এক দিবসেই শেষ করিলেন । , পুস্তক সমাপ্ত করিয়া কেশব হৃষ্ট চিত্তে শয়ন করিলেন। কোনই অসুখ নাই। কিন্তু শেষ রাত্রে চক্ষের বেদন নিদ্র। ভঙ্গ হইয়া গেল। জাগিয়া দেখিলেন আর চক্ষু মেলিতে পারেন না । কোন রূপে সে রাত্রি অতিবাহিত করিলেন । পর দিবস ডাক্তারকে পুনরায় চক্ষ দেখাইলেন। ডাক্তার দেখিয়া কহি