পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপালের পাশের দিকটা অবশ্য দেখতে দেখতে ফুলে ঢোল হয়ে গেছে ভদ্রলোকের। কিন্তু একফোটা রক্তপাত যার ঘটেনি। তাকে আহত বলা যায় কোন যুক্তিতে । কেউ মরে নি, রক্তপাত হয় নি, সুতরাং সামান্য দুর্ঘটনাই বলতে হবে । মিনিট কুড়িও লাগে না রাজপথটির ধাতস্থ হতে । তারপর ঠিক আগের মতই অবিরাম গতিতে মানুষ ও গাড়ীর চলাচল দেখে মনে হয়, দুর্ঘটনার চিহ্ন কেন, স্মৃতি পর্যন্ত যেন উপে গিয়েছে । সামনে খানিকটা ফাক পাওয়ায় পিছনের যে গাড়ীটা ব্ৰেক কষে থামবার সুযোগ পেয়েছিল, কারো এতটুকু চোট লাগে নি তার ড্রাইভার জীবন ফুটপাথে চুপচাপ দাড়িয়ে বিড়ি টানে । একটার পর একটা । ভূপেশ বলে, দাড়িয়ে রইলে যে জীবন ? গাড়ীতে ষ্টার্ট দাও, দেৱী হয়ে যাচ্ছে । জীবন একটা ঢোক গেলে । সন্ধ্যা তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তার মুখের দিকে চেয়ে জিজ্ঞাসা করে, তোমার মুখ এরকম শুকনো দেখাচ্ছে কেন ? প্ৰাণপণ চেষ্টায় মুখের ভাব স্বাভাবিক রাখবার চেষ্টা করতে করতে জীবন বলে, ও কিছু নয়। শরীরটা আজ ভাল নেই। ধীরে ধীরে এগিয়ে সে গাড়ীতে ওঠে। ভেতরে তার যে কি ব্যাপার চলছে, মাথা ঘুরছে বুক ধড়ফড় করছে, সর্বাঙ্গ। কঁাপিছে এটা ওদের জানতে দেওয়া যায় না । একটা দুর্ঘটনা ঘটবার এতক্ষণ পরেও যার ভেতরে এমন ব্যাপার b >