| o লালন-গীতিকা সংগৃহীত—অধুনা ‘রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত গানগুলি মিলাইয়া লালনগীতিকা’ প্রকাশিত হইল। শ্ৰীযুত দাশের সংগৃহীত গানগুলির মধ্যে অনেক গান রবীন্দ্রনাথের সংগ্রহের মধ্যে নাই ; আবার রবীন্দ্রনাথের সংগ্রহের মধ্যে শ্ৰীযুত দাশের সংগৃহীত গান ব্যতীত ৮৯টি নূতন গান পাওয়া গিয়াছে। প্রথমে শ্ৰীযুত দাশের সংগৃহীত গানগুলি দেওয়া হইয়াছে এবং রবীন্দ্রনাথের সংগৃহীত গানগুলির সহিত মিলাইয়া পাদটীকায় পাঠাস্তর দেওয়া হইয়াছে । এ-ক্ষেত্রে স্থানে স্থানে রবীন্দ্রনাথের সংগৃহীত গানের মধ্যে কিছু কিছু অতিরিক্ত পাঠ পাওয়া গিয়াছে ; এই অতিরিক্ত পাঠও গানগুলির সহিত সংযোজিত হইয়াছে, তবে সর্বত্রই তাহা বন্ধনীর দ্বারা চিহ্নিত করিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং তারকা-চিহ্ন দ্বারা তাহ পাদটীকায় উল্লেখ করিয়া দেওয়া হইয়াছে। রবীন্দ্র-সংগ্রহে যে নুতন ৮৯টি গান পাওয়া গিয়াছে তাহা মতিলাল দাশ মহাশয়ের সংগৃহীত গানের পরে পৃথকভাবে মুদ্রিত হইয়াছে। সব জুড়িয়া গ্রন্থমধ্যে লালন ফকিরের মোট ৪৬২টি গান স্থান পাইয়াছে। খাচার মধ্যে অচিন পাখী কেমনে আসে যায় লালন ফকিরের এই সুপ্রসিদ্ধ পদটি মতিলালবাবুর সংগ্রহে বা রবীন্দ্রনাথের সংগ্রহে পাওয়া যায় নাই ; এপদটি অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয়ের বাংলার বাউল ও বাউল গান গ্রন্থ হইতে গৃহীত হইয়াছে। অধ্যাপক ভট্টাচার্য মহাশয় এবং র্তাহার গ্রন্থের প্রকাশক এই পদটি বর্তমান সংগ্রহে গ্রহণ করিবার অনুমতি দিয়া ঔদার্যের পরিচয় দিয়াছেন, তাহার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ । ৩৮সংখ্যক গানটি (২৬ পৃষ্ঠা ) এবং ৮২-সংখ্যক গানটি (৫৭ পৃষ্ঠা ) কিছু কিছু পাঠান্তর সত্ত্বেও মূলতঃ একই ; অনবধানত বশতঃ গানটি দুইবার ছাপা হইয়াছে। ১৩৬সংখ্যক গান (৯৩ পৃষ্ঠা) ও ৪৫৫ ংখ্যক গানের (৩১৩ পৃষ্ঠা ) ক্ষেত্রেও এই ভ্রান্তি হইয়াছে। জীযুত মতিলাল দাশ মহাশয়ের সংগৃহীত গানগুলির পাঠ নানাভাবে বিকৃত ছিল ; আঞ্চলিক উচ্চারণ-বিধির প্রভাবে তৎসম শব্দগুলিও নপান্তর লাভ করিয়াছিল । উচ্চারণবিকৃতি-জাত বৰ্ণাশুদ্ধি ব্যতীতও
পাতা:লালন-গীতিকা.djvu/১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।