পাতা:লালন-গীতিকা.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা l/o বর্ণাশুদ্ধি অনেক ছিল । এ-ক্ষেত্রে একেবারে যদৃষ্টং তল্লিখিতং’ করিলে গানগুলির কোনও রূপ অর্থবোধ করাই কষ্টকর হইত। যেগুলি অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই বিকৃতি বা অশুদ্ধি বলিয়া মনে হইয়াছে সেইগুলিই শুদ্ধ করিয়া গানগুলিকে বোধগম্য করিয়া তুলিবার চেষ্টা হইয়াছে; ইহা ব্যতীত সম্পাদনার নামে গানের উপরে অযথা হস্তাবলেপ করা হয় নাই । খাতায় গানগুলি কবিতার আকারে সাজান ছিল না,–টানা লেখা ছিল ; পঙক্তি ভাঙিয়া গানগুলিকে সাজান হইয়াছে। খাতায় অ-কারাস্ত শব্দগুলি—বিশেষ করিয়া অকারাস্ত ক্রিয়াপদগুলি ও-কারান্ত ভাবে লিখিত। সম্ভবতঃ স্বরের টানে এইরূপ হইয়াছে। কবিওয়ালা এবং পাচালীওয়ালাগণের গানেও বহুস্থলে এইরূপ দেখা যায়। এ-গ্রন্থে এই জাতীয় শব্দগুলির মধ্যে ক্রিয়াপদগুলিকে বহুস্থলে ও-কারাস্তভাবেই মুদ্রিত করা হইয়াছে। মাঝে মাঝে মহাপ্রাণ বর্ণের অল্পপ্রাণ বর্ণে পরিণত হইবার প্রবণতা লক্ষিত হইবে। ‘রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত গানের খাতা উদূর হ্যায় ডান দিক হইতে বা দিকে লিখিত ; খাতার শেষ পৃষ্ঠাই প্রথম পৃষ্ঠারূপে গণ্য। এই খাতার পাঠে আবার আর একটি বৈশিষ্ট্য লক্ষিত হয় ; ক্রিয়াপদের আদিতে আ-কার স্থানে স্থানে এ-কার রূপে লিখিত ; যেমন, রাখলে –রেখলে ; জানতে—জেনতে ; ভাসতে—ভেসতে। মতিলালবাবুর খাতায় এগুলি আ-কারাস্তভাবেই লিখিত । এ-জাতীয় শব্দগুলিকে সাধারণতঃ আ-কারাস্ত রূপেই দেওয়া হইয়াছে। যথা-সম্ভব বিশুদ্ধ পাঠ প্রতিষ্ঠিত করা, গানগুলির পঙক্তি ভাঙিয়া সাজাইয়া দেওয়া, রবীন্দ্র-সদনে রক্ষিত পুথির পাঠের সহিত পাঠ মিলাইয়া পাঠ শুদ্ধ করা বা প্রয়োজন মত পাঠান্তর দেওয়া, রবীন্দ্র-সদনে রক্ষিত পুথিতে প্রাপ্ত অতিরিক্ত পদগুলি সংযোজিত করা প্রভৃতি কাজ অন্যতম সম্পাদক শ্ৰীযুত পীযুষকাস্তি মহাপাত্র মহাশয় করিয়াছেন। গানগুলির অর্থবোধের সুবিধার জন্য একটি ‘অর্থ-সংকেত তিনি যোজনা করিয়া দিয়াছেন ; আরম্ভের পদ-সূচী এবং শেষের শব্দ-সূচীও