পাতা:লালন-গীতিকা.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লালন-গীতিকা
১৫১

ক’রে আজব কারিগরি
বসে আছে ভাব-মিস্ত্রী
সেই পিঞ্জরার বাহিরে
পাখির আসা যাওয়া দ্বার
মাঝে সন্ধিপর
ফকির লালন বলে,
কেউ দেখতে পারে॥

২২৫

সদায় সে নিরঞ্জন নীরে ভাসে।
যে জানে সে নীরের খবর নীর খাটায় তারে
খুঁজলে পায় অনায়াসে॥
বিনা মেঘে নীর বরিষণ
করিতে হয় তার অন্বেষণ,
যাতে হ’ল ডিম্বের গঠন,
থাকিয়ে আবিম্ব শুম্ভোবাসে[]
যথা নীরের হয় উৎপত্তি
সেই আবেশে জন্মে শক্তি
মিলন হ’ল উভয় রতি
ভাসলে যখন নরেকারে এসে॥
নীরে নিরঞ্জন অবতার,
নীরেতে সব করবে সংহার,
সিরাজ সাঁই তাই কয় বারেবার,
দেখ রে লালন আত্মতত্ত্ব-বশে॥

  1. শুমোবাসে