এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১০
লালন-গীতিকা
ব্রহ্মাণ্ড ভাবুক যার ভাবিয়ে সে ভাবুক আজ,
কাহার ভাব লয়ে একি অসম ভাব
ভাবনা সম ভাবে কোন্ জনা
মরি মরি ভাবের বলিহারি যাই॥
অনুভাবে ভেবে কতই করি সার,
শ্যামচাঁদের উত্তম কি চাঁদ আছে আর,
করে চাঁদে চাঁদ হরণ সেহি বা কেমন
ভক্তিবিহীন লালন বসে ভাবে তাই॥
৩০৫
কার ভাবে এ ভাব হাঁরে জীবন কানাই।
করে বাঁশী নাই, মাথে চূড়া নাই॥
ক্ষীর সর ননী খেতে
বাঁশীটি সদাই বাজাতে
কি অ-সুখ পেয়ে তাতে
ফকির হ'লি ভাই॥
অগোর চন্দন আদি
মাখিতে নিরবধি
সেই অঙ্গ ধূলায় অদ্ভূতি
এখন দেখতে পাই॥
বৃন্দাবন যথার্থ বন
তো বিনে হ’লরে এখন,
মানুষ লীলে করবে কোন্জন
লালন বলে তাই॥