এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লালন-গীতিকা
৪৭
গুরুর ঠাঁই জেনে পাতি
শাসন করে নিরালা।
ও তার মানব জনম সফল হবে
এড়াবে শমন-জ্বালা॥
সাড়ে তিন বটে
লেখা যায় শাস্ত্রপাটে
মধ্যের মূল তিন রস ঘটে
তিনশো ষাট রসের বালা।
জানলে সে রসের মরম রসে কি তারে যায় বলা॥
রসবতীর ন্যায়[১] বিচক্ষণ
আন্দাজী করে[২] সাধন
কি সে হয় প্রাপ্ত কি ধন
ঘোচে না মনের ঘোলা।
আমি উজাই কি ভেটেনে পড়ি ত্রিবেণীর[৩] তীর নালা॥
শুদ্ধ প্রেম রসিক হলে
রসবতী উজান চলে
ভেয়ানে[৪] শুদ্ধ ফলে
অমৃত মিছরী উলা।
লালন বলে, আমার কেবল শুধুই জল তোলা ফেলা॥
৬৭
হায় চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি।
ভেদ পরিচয় দেয় না আমায় ঐ খেদে ঝোরে আঁখি॥
পাখি বুলি বলে শুনতে পাই,
রূপ কেমন দেখিনা ভাই
এতো বিষম ঘোর দেখি॥