পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( न ) নাথের বাউল দল। এদেরকেও বলা হ’ত সখের বাউল । এদের মধ্যে কবি-শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, এমন কি রবীন্দ্রনাথের কবিগুরু বিহারীলালও পড়েন । বিহারীলাল-রচিত ‘বাউল বিংশতি' শীৰ্ষক গ্রন্থের সখের বাউল দলের গানের নাম এই প্রসংগে উল্লেখ করা যেতে পারে । শুধু তাই নয়—স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ সাক্ষ্য দিয়েছেন— “বাউলের গান শিলাইদহে খাটি বাউলের মুখে শুনেছি ও তাদের পুরাতন খাতা দেখেছি। নিঃসংশয়ে জানি বাউল সঙ্গীতে একটা অকৃত্রিম বিশিষ্টত আছে, য। চিরকালের আধুনিক । হাল আমলের পাশ করা সেটা জাল করতে পারে না, সে তাদের ক্ষমতার অতীত ! ইংরেজী পোড়ো বাউলের রচিত গান আছে, দেখেছি তা অস্পৃশ্য । আমার অনেক গান বাউল ছাচের কিন্তু জাল করতে চেষ্টাও করি নি, সেগুলো স্পষ্টতর রবীন্দ্র বাউলের রচনা ।২ বলা বাহুল্য, এ-বাউল লালন শাহ ও র্তার সম্প্রদায় । বাউল গানের fচরত্বের যে কথা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এ শুধু লালন শাহী সংগীত সম্পর্কেই প্রযোজ্য। রবীন্দ্রনাথ লালনের ছেউড়ে আখড়ার বাউলদের প্রসংগে ১. কাঙ্গাল হরিনাথ, ১ম খণ্ড ঃ রায় জলধর সেন বাহাদুর, কলিকাতা পৃঃ ২৩-৩১ । “ফিকির চাদ ফকিরের দল বাঙ্গালা ১২৮৭ সালে প্রথম গঠিত হয় । ........ ...কে জগনিত আমাদের অবসর খেয়াল হইতে যে সামান্য গানটি বাহির হইয়াছিল তাহার তেজ এত অধিক । কে জানিত এই কাঙ্গাল ফিকির চাদের সঙ্গীতে সমস্ত পূর্ববঙ্গ, মধ্যবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ এবং আসাম প্রদেশ ভাসিয়া যাইবে ।” ২. হারামণি, ২য় খণ্ড ঃ অধ্যাপক মনস্থর উদ্দীন, কলিকাতা, ১৯৪২, পুঃ ১৭৫