পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ठा ] এই লালনই আবার বলেছেন— t “তরীক দিচ্ছেন নবী জাহের বাতুনে যথাযোগ্য লায়েক জেনে রোজা অার নামাজ ব্যক্ত এহি কাজ, গোপ্ত পদ মেলে ভক্তির সন্ধানে ৷” শুধু তাই নয়, বে-শর ফকীরদের বিরুদ্ধেও তিনি বিষোদগার করেছেন— “বে-শরা নায়ে যারা তুফানে যাবে মারা একই ধাক্কায় । কি ক’রবে তোর বদর গাজী থাকবে কোথায় ।।’’ তবুও প্রশ্ন থেকে যায়—তবে নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দিতে তার আপত্তি কেন ? আপত্তি হবে কেন, মুসলমানের ঘরে পয়দা হ’লেই কি মুসলমান হওয়া যায় ? মুসলমানী যে সাধনার বস্তু ! আর জাত ? মুসলমানের আবার জাত কি ? কুরআনই বলছে—মানুষ এক জাতিভুক্ত ( উন্মতান ওয়াহিদাতান ) । সুফীরা তো জাতের কথা ভাবতেই পারেন न1 “ভক্তের দ্বারে বাধ। অাছেন সাই যবন কি কাফের তার জাতের বিচার নাই । ফারসী কবি হাফিয তো নিজেকে মুসলমান ব’লে পরিচয় দিতেই চান নি। তিনি নিজেকে মযহাবে ইশ কী’ অর্থাৎ প্রেমিক শ্রেণীভুক্ত বলেছেন । দাদু বলেছেন— “দাদু পুছে দেব কৈনসা জাতি কহাবো, বুঢ়া—জাতি না পাতি প্রতি সে কৈ পাবে৷ ” তুলনীয় লালনের— “সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে । লালন বলে জেতের কিরূপ দেখলাম না নজরে ।”