পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লালন শাহ্ ও লালন-গীতিক Հձ: Հ8 তিল পরিমাণ জায়গাতে কি কুদরতিময় । জগত জোড়া একজন নাড়া, সেইখানেতে বারাম দেয় । আমি বোলব কি সেই নাড়ার গুণ-বিচার চার যুগে তার রূপ নব কৈশোর- ; অমাবস্যা নাই সে দেশে দীপ্তাকারে সদাই রয় । ভাবের নাড়া ভাব দিয়ে বেড়ায়, যে যা ভাবে তাই হয়ে দাড়ায় । রসিক যারা বসে তারা, পেঁড়োর খবর পিড়েয় পায় ৷ শতদল কি সহস্রদলের দল, নাড়া বেটা" বসে নাড়ায় কল । লালন বলে, জানি কবে কল ফেলিয়ে নাড়া যায় । ১. 'নর কেশব’ ( লা-গী, পৃঃ ৯১ ) ২. নাড়া ঠাকুর— “নাড়া ঠাকুর নাড়ছে সদাই ফল, লালন বলে, জানি কবে ফল ফেলিয়ে নাড়া যায় ।” (লা-গী, পৃঃ ৯১) হেঁউড়ের লালন-ভক্ত জনাব মুসলিম উদ্দীন-কথিত গানটির ভণিতায় কিছু নতুনত্ব আছে ; যথা— “শতদল কি সহস্ৰদলে দল ওই নাড়া বেটা ব’সে ঘুরায় কল, লালন বলে, তিনটি তারে অনস্ত রূপ কল খাটায় ।”