পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ایسا করণে অরুন্ধতীসহ ভূতলে পতিত হইলেন। শক্তিমানৃ বসিষ্ঠ, বংশ নষ্ট হইল শুনিয়া এবং শক্রি প্রভৃতি শত পুত্রকে স্মরণ হওয়াতে মরিতেই কৃতনিশ্চয় হইলেন । তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ, আত্মবিং এবং মনস্বী হইয়াও শক্রি ব্যতীত আমি আর জীবন ধারণ করিব না, এই নিশ্চয় করিয়া দুঃখিত চিত্তে সাশ্রনয়নে পক্টর সহিত পৰ্ব্বতমস্তকে আরোহণপূর্বক তথা হইতে ভূতলে পতিত হইলেন। পৃথিবী বিচিত্রকষ্ঠী, গজেন্দ্ৰ-মন্দগামিনী রমণী মূৰ্ত্তি পরিগ্রহপূর্বক পৰ্ব্বতশিখর হইতে নিপতিত সেই সম্ভাৰ্য্য ঋষিকে ধারণ করিলেন, এবং সেই রোদনপরায়ণ ঋধিকে করকমল-যুগলে ধারণ করিয়া তিনিও রোদন করিতে লাগিলেন। তখন, শক্তিপত্নী মুষ অদৃশুন্তী ভয়বিহ্বল এবং রোদন-পরায়ণ হইয়া | বাতাংবর মহামুনি বসিষ্টকে বলিলেন, হে প্রভে! বিপ্রশ্রেষ্ঠ । ভগবন্‌ ! আমার গর্ভোস্তব নিজ পৌত্র দেখিবার জন্য আপনি এই আপনার শুভ দেহ রক্ষা করুন। হে ব্রাহ্মণশ্রেষ্ঠ ! আপনার এই সুশোভন দেহ ত্যাগ করা উচিত হইতেছে না। যেহেতু, শক্রির ঔরসজাত সৰ্ব্বার্থসাধক পুত্র, আমার গর্ভস্থ আছে। ১–১২ । কমলনয়না ধৰ্ম্মজ্ঞা অদৃশুন্তী, দুই হাতে শ্বশুরকে উথাপনপূর্বক প্রণাম করিয়া জলদ্বারা নয়ন মার্জনা করিয়া দিলেন। নিজে অত্যন্ত দুঃখিত৷ হইলেও দুঃখিত শ্বশুর এবং দুঃখিত শ্বশ্রী কর্ম্যাণী অরুন্ধতীকে রক্ষা করিবার জন্ত প্রার্থনা কঢ়িলেন। বসিষ্ঠ, পুত্রবধূর কথা শুনিয়া চৈতন্ত লাভের পর অরুন্ধতীকে অবলম্বনপূৰ্ব্বক ভূতল হইতে গাত্র্যোন করিলেন। এদিকে অদৃশুন্তী নিজ দুঃখাবেগে ভূতলে পতিত হইলেন। অরুন্ধতী, সেই অশ্রুপূর্ণনয়ন অদৃশুম্ভীকে দুই হস্তদ্বারা ধরিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। পুত্রবৎসল মুনিশাৰ্দ্দল বসিষ্টও সেই ভাৰ্যার সহিত রোদন করিতে লাগিলেন। অনস্তর বিষ্ণুনাভি-কমলে অবস্থিত ব্ৰহ্মার স্তায় অদৃশ্বম্ভীর গর্ভাশয়স্থিত বালক, বেদধ্বনি করিতে লাগিলেন । তখনঙ্গবান বসি, জারপূর্বক সেই বোমন্ত্র শ্রবণ হ{{# “এ বেদমন্ত্র কে উচ্চারণ করল ?” এই চিন্তুtয় ধানমগ্ন হইলেন। তখন সৰ্ব্বাস্ত্র, করুণাময় পুওীকাঙ্ক হৰি গগনামে আৰ্ত্তি হইয়া সাভাবে বসিকে বুলিলেন, “বংস ও বৎস! পুত্রবংসল ব্রাঞ্চশ্রেষ্ঠ পিষ্ঠ। মাতোমার পৌত্রের মুখকমল তোমার এই ষ্ট্ৰেীয় জামা ভুল শক্তিমান লিঙ্গপুরাণ করিয়া সম্বরে গাত্ৰোখান কর। এই গর্ভস্থ বালক, রুদ্রভক্ত ও রুদ্রপুজাপরায়ণ হইয়া রুদ্রদেবের প্রভাবে - তোমার বংশ উদ্ধার করবে।” করুণাময় ভগবান্‌ পুরুষোত্তম, দুলিবর বিপ্ৰ বসিষ্টকে এই কথা বলিয়া সেইখানেই অন্তৰ্হিত হইলেন। তখন, মহাতেজ বসিষ্ঠ, কমললোচন নারায়ণকে নতমস্তকে প্রণাম করিয়া অদৃশুম্ভীর গর্ভস্পর্শ করিলেন। হে দ্বিজগণ । কিন্তু কিয়ংক্ষণপরেই আবার ছা পুত্র! হা পুত্ৰ ! বলিয়া দুঃখাবেগে ভূতলে পতিত হইলেন এবং রোরুদ্যমান অরুন্ধতীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া নিজ পুত্রকে স্মরণ করত দুঃখাবেগে বিলাপ করিতে লাগিলেন,“পুত্র! একবার এস ; অহে শক্রি । এই কূলরক্ষণ তোমার পুত্র অবলোকন করিয়া তোমার জননীর সহিত আমি তোমার নিকট গমন করিব সন্দেহ নাই।” স্থত বলিলেন,—বিপ্ৰ বলিষ্ঠ, অরুন্ধতীকে আলিঙ্গন করত এইরূপ বিলাপ করিয়া ভূতলে পতিত হইলেন। তখন কল্যাণ অদৃশ্বন্তী দুঃখিত চিত্তে অনয়ের আশ্রয়স্থল স্বীয় গর্ভে করাঘাত করত বিলাপ করিতে করিতে ভূতলে পতিত হইলেন। তাহাতে মহামতি বলিষ্ঠ এবং অরুন্ধতী ভীতিবিহ্বল হইয়া বালিকা পুত্রবধূকে উত্থাপনপূর্বক যথাক্রমে বলিতে লাগিলেন, বিচারশূন্ত ! আর্য্যে! নিঙ্গ দুর্লভ গর্ভস্থলে করকমল আঘাত করিয়া সমস্ত বসিষ্ঠবংশ নির্মূল করিতে কেন উদ্যত হইয়াছ বল। ১৩—৩১। মুনিবর বলিষ্ঠ শক্রির ঔরসজাত সন্তান তোমার গর্ভস্থ জানিয়া এবং সেই মহর্ষি পুত্রের মুখনিৰ্গত বেদমন্ত্রধ্বনিরূপ অমৃত পান করিয়াই নিজ শরীর রক্ষার্থ সম্পূর্ণরূপে নিশ্চয় করিয়াছেন, অতএব নিজ শরীর রক্ষা কর। স্থত বলিলেন, বলিষ্ঠ এবং অরুন্ধতী পুত্রবধূকে .এইরূপ বলিয়া তুৰ্কীস্তার অবলম্বন করিলেন। অরুন্ধতী শোক-কাতরা ও বিহ্বল হইয়া বসিষ্ঠের সম্মুখে পুত্রবধূকে বলিলেন, হে মুত্ৰতে ! এই গর্ভস্থ বালকের, মুলিবর বসিষ্ঠের এবং জীবন আমার এখন তোমার উপরে নির্ভর করিতেছে। অতএব জীবন রক্ষা কর, দেহ ধারণ কর ; অশুচিত কাৰ্য্য করিও না। অদৃশুষ্ঠী বলিলেন, মুনির! আপনি যখন আমার জন্ত নিজ মঙ্গলকর দেহ থকা করিতে নিশ্চয় করিাছেন, তখন আমিও আম্বর এই অশুভ হে কষ্ট্রে প্রতিপালন কবি। আমি যে মিতাভ জাগিনী, তাহাতে কোন সংশয় নাই; যেহেতু আমি পতিবিরহ বস্ত্রণ ভোগ কঞ্জিতেছি ! মুরি! আমি যে, হুখে DDBB DDBB DDDgLS gg BBDD ttDBS BBBS BB BB BBBBB BBS