পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

מלל 1ং উন্নত ও জটিলকেশধারী অতিদীর্ঘ বিকৃত-রূপ বিশ্বরূপ-স্বরূপ; উইার লুকপালধারী ও দৃষ্টিসংহারী। ঐ শত শত বলশালী দিব্য পুরুষগণ রথারূঢ়, চৰ্ম্মী, ৰক্ষ্মী বরধী এবং আকাশপথে বিচরণশীল। উষ্ঠার ত্ৰিলোচন,স্থেলমন্তক দ্বিজিহর এবং উইার অন্ন ও মাংস ভক্ষণ করেন। উইার যজীয় হবি ও সোমরস পান করেন। সকলেই উৰ্দ্ধরেত, নীলকণ্ঠ, উৰ্দ্ধ কপাল, হুব্যভোজী ও বিখ্যাত ধৰ্ম্মশীল। কেহ কেহ উপবিষ্ট ও ধাবমান। তঁহারা পঞ্চভূতাত্মক শিখাশালী অধ্যাপক ; অধ্যয়নশীল জপপরায়ণ যোগশীল এবং সকলেই ধূমবান। অগ্নির স্তায় প্রজ্বলিত বলিয়, অতি দীপ্তিশালী বয়ঃপ্রাপ্ত বুদ্ধিমান ব্রহ্মনিষ্ঠ প্রিয়দর্শন নীলগ্রীবাবিশিষ্ট সহস্রনয়ন ক্ষমাগুণশালী সৰ্ব্বজীবের অদৃষ্ঠা পরমযোণী মহাতেজ এবং বারঙ্গার ভ্রমণ-লক্ষন ধাবনতৎপর সুরগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । ঐ সকল যুবক রুদ্রগণ সৃষ্ট হইলে, ব্ৰহ্ম অবলোকন করিয়া মহাদেবকে কছিলেন, হে দেব ! ঈদুশ প্রজা স্বজন করিবেন না। আপনার সদৃশ এরূপ জরামৃত্যুবিহীন প্রজা স্বজন করা উচিত নহে। হে প্রভো! আপনাকে নমস্কার। অন্ত নশ্বর প্রজা স্বজন করুন, এরূপ মৃত্যু-রহিত প্রজাগণ সদসং কোন কৰ্ম্মেরই অনুষ্ঠান করিবে না। ২৮০–৩১৫ । মহাদেব এইরূপ উক্ত হইয়া ব্ৰহ্মাকে কছিলেন জর মরণশীল প্রজা আমি স্বজন করি }; তোমার মঙ্গল হউক, আমি নিবৃত্ত রহিলাম ; তুমি তাদৃশ প্রজা স্বজন কর। এই যে বিকৃতরূপ : সহস্ৰ নীললোহিত স্বজন করিলাম ; ঐ প্রজাগণ আমার দেহ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে ; একারণ উহর মহাবলপরাক্রান্ত রুদ্রনামক দেবত হইবে এবং পৃথিবী অন্তরীক্ষ ও দিকৃসমূহ আশ্রয় করিয়া থাকিবে এবং একাত্মা শতরুদ্র হইয়া সকল দেবগণের সহিত যজ্ঞভাগ প্রাপ্ত হইবে ও প্রতি মন্বন্তরে যে সকল দেবগণ উৎপন্ন হইবেন সেই সকল দেবতার সহিত একত্র পুঞ্জিত হইয়া মহাপ্ৰলয় পৰ্য্যন্ত অবস্থান করিবেন। তখন ধীমান মহাদেব এইরূপ কহি প্রজাপতি ব্ৰহ্মা প্রফুল্লমুখে তঁহাকে নমস্কার কৰ্শ্ব প্রত্যুভর করিলেন; হে প্ৰভো! আপনি যাহা কৃছিলেন, তাহাই হউক। অলস্তর ব্রহ্মার। আদেশেই সকল হইতে লাগিল ও অবধি দেবদেব স্থাপু জারপ্রল স্বজন না করিয়া মহাপ্রলয় পৰ্য্যত্ব প্রজাস্থজনেরিম্ভ ছিলাম, এইরূপ পূৰ্ব্বে কহিল, !थ्णन बॉणन्न श५ नएन जछिश्उि श्न। शृक' লিঙ্গপুরাণ ও অগ্নির স্থায় তেজী ঐ দেব প্রধান, পুরুষ মহাদেব অৰ্দ্ধশরীর নারীরূপ ; কারণ উনি স্বয়ং অৰ্দ্ধেক স্ত্রী ও অৰ্দ্ধেক পুরুষ এই দ্বিপ্রকার হইয়া- . ছেন এবং ঐ পরমেশ্বরই অন্ত একাদশভাগে বিভক্ত হইয়া একাদশ রুদ্ররূপে অবস্থান করেন। তথায় যে নারী থাকেন, তিনি সেই মহাভাগ। ঈশ্বরের অৰ্দ্ধাঙ্গরূপিণী। পূৰ্ব্বোক্ত মহাদেবই ঐ নারী এবং ঐ দেবাই পুৰ্ব্বে প্রজাপতি দক্ষ কর্তৃক আরাধিত হইয়া জগতের হিতার্থে সতীরূপ ধারণ করিয়াছিলেন । কোন কারণাধীন তাহার দক্ষিণ অঙ্গ শুক্ল ও বাম অঙ্গ কৃষ্ণ ; উনি পূৰ্ব্বে শরীরের বিভেদার্থ শস্তৃকর্তৃক কথিতা হইলে পর, শুক্ল ও কৃষ্ণ এই দ্বিপ্রকারী হুইয়াছেন। হে দ্বিজগণ! সেই দেবীর নামসকল কহিতেছি অবহিতচিত্তে শ্রবণ কর। স্বাহ, স্বধ, মহাবিদ্যা মেধা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, সতী, দাক্ষায়ণী, বিদ্যা, ইচ্ছ, ক্রিয়াত্মিক, শক্তি, অপর্ণ, একপর্ণা, একপাটল, উমা, হৈমবতী, কল্যাণী, একমাতৃক, খ্যাতি প্রজ্ঞ, মহাভাগ, গৌরী, গণ, অম্বিক, মহাদেবী নন্দিনী, মুজাতবেদসী, সাবিত্রী, বরদা, পুণ্য, পবনী, লোক-• বিশ্রুত, আজ্ঞা, অবেশনী, কৃষ্ণ, তামসী, সাত্ত্বিকী, শিব, প্রকৃতি, বিকৃত, রৌদ্রী, দুর্গ, ভদ্র, প্রমাথিনী, কালরাত্রি, মহামায়, রেবতী, ভূতনায়িকা। তিনিই সৰ্ব্বময়ী, কেবল রূপমাত্র পৃথকৃ। দ্বাপর যুগের অন্তে র্তাহার এই সকল নাম, গৌতমী, কৌশিকী, আৰ্য্য, চণ্ডী, কাত্যায়নী, কুমারী, যাবর্দী, দেবী, বরদ, কৃষ্ণপিঙ্গল, বহিধ্বজ, শূলধর, পরমব্রহ্মচারিণী, মহেন্দ্রভগিনী, উপেন্দ্রভগিনী, দৃষদ্বতী, একশ্বলংকু, অপরাজিত, বহুভুজ, প্রচও সিন্ধুবাহিনী, শুস্ত প্রভৃতি দানবঘাতিনী, মহামহিষমৰ্দ্দিনী, অমোঘ বিন্ধ্যনিলয়, বিক্রান্ত ও গণনায়িকা। আমি দেবী ভদ্রকালীর এই অতি ফলপ্রদ নাম সকল কহিলাম ; যে মানবেরা ইহা পাঠ করে, তাহারা নিষ্পাপ হয় এবং অরণ্যে, পৰ্ব্বতে, নগরে, গৃহে, জলে, স্থলে যে কোন ভয়স্থানে এই সকল পাঠ করিলে ব্যাঘ্ৰ কুৰ্ত্তীর চৌরাদি যে কোন হিংস্ৰক হইতে রক্ষা পাওয়া যায় ; অতএব সকল আপংকালেই দেবীর এই নাম সকল সঙ্কীৰ্ত্তন করিবে এবং আর্য্যক গ্রহভূত ও পুতলা প্রভৃতি মাতৃগণ কর্তৃক আক্রান্ত বালকগণের রক্ষার্থ এই নাম ধারণ করাইবে। ঐ প্রধান মহাদেবী-প্রজ্ঞ ও ঐ এই দুই অংশে কীৰ্ত্তিত হন। উহাদিগের হইতেই সহস্ৰ সহস্ৰ । মেৰী উৎপন্ন হইয়াছেন। তঁহারা সমগ্র জগৎ র্যাপির রছিয়াছেন। পরমেশ্বর , দেবদেব রুদ্র