পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। হুর্ঘ্যের পুজু করিলে সম্যক্ আরোগ্য প্রাপ্ত হয়। নদীজলে পূর্ণশোভন ঘট স্পর্শ করিয়া অযুত জপ করিয়া ঐ জলে স্নান করিলে তাহ রোগের ঔষধস্বরূপ হয়। অষ্টবিংশতি পলাশৰ্ম্মমধ হোম ও অষ্টাবিংশতিবার জপ করিয়া প্রতিদিন অন্নভোজন করিলে আরোগ্য লাভ হয়। চন্দ্ৰ-সূৰ্যগ্রহণে পবিত্রভাবে যথাবিধি উপবাস করিয়া গ্রাস হইতে মুক্তিপৰ্য্যস্ত সমাহিতচিত্তে সমুদ্রগামিনী নদীতে জপ করিয়া গ্রহণের মুক্তি হইলে পুনরায় অষ্টোত্তর সহস্ৰ জপ করিয়া ব্রাহ্মীশাকের রসপান করিলে একাহেই সৰ্ব্বশাস্ত্র-ধারণোপযুক্ত উত্তম মেধা লাভ হয় । ১৮১-২০০ । তাহার অমানুষী বাকৃ-শক্তি হয় । গ্ৰহ নক্ষত্র পীড়া হইলে, ভক্তিপূৰ্ব্বক অষ্টাধিক সহস্ৰ হোম করিয়া অযুত জপ করবে, তাহাতেই গ্রহপীড়া বিনষ্ট হইবে । দুঃস্বপ্ন দর্শন করিলে | २8९ ও মঙ্গলদায়। সন্ধ্যোপাসনার বিচ্ছেদ হইলে অষ্টেক্তর শত জপ করবে। বিড় বরাহ, চাগুলি, দুর্গম ও কুকুট কর্তৃক পৃষ্ট অন্ন ভোজন করিবে না। করিলে অষ্টাধিকশত জপ করবে। ব্ৰহ্মহত্যাৰিশুদ্ধির জন্ম শতকোটি জপ করিবে। অনুপাতক শান্ত্রির জন্ত তাহার মৰ্দ্ধপ্রায়শ্চিত্ত হইবে, ইহাতে বিচার করবেন। উপাপাতক-দূষিত মানবগণ তাহার অৰ্দ্ধপ্রায়শ্চিন্তু করবে। অবশিষ্ট পাপের শুদ্ধির জন্ত পঞ্চসহস্ৰ জপ. করিবে। যে নর অনাকূল হইয়া আত্মবোধকারক গুস্থ শিব-বোধ-প্রকাশক,-মন্ত্র পঞ্চলক্ষ জপ করে, সে শিবস্বরূপ হয় এবং হে ভদ্র ! সে মানব পঞ্চ বায়ু জয় করে ও মুখ প্রাপ্ত হয়। হে সুমুখি! নিগৃহীতেশ্রিয় ও শুচি হইয়৷ পঞ্চলক্ষ জপ কুরিলে, পঞ্চেল্লিয়ের বিজয় লাভ করিতে পারা যায়। অনাকুল ও ধ্যানযুক্ত হইয়৷ যে পঞ্চলক্ষ জপ করে সে পঞ্চবিষয়ের জয় প্রাপ্ত হয় । য়তদ্বারা অষ্টোত্তরশত হোম করিয়া অযুত জপ । যে নর ভক্তিযুক্ত হইয়া পঞ্চলক্ষ জপ করে, সে করিবে, তাহাতেই সদ্য শান্তি লাভ করিবে। হে দেবি ! চন্দ্ৰ-সূৰ্য্যগ্রহণে যথাবিধি লিঙ্গ পূজাপূৰ্ব্বক দেবসন্নিধানে শুচি ও সংযতচিত্ত হইয়া আদরসহকারে যংকিঞ্চিং প্রার্থনীপূৰ্ব্বক জপ করিলে পুরুষ নিঃসংশয় সকল অভীষ্ট লাভ করে। গজ, অশ্ব ও গোজাতির পীড়া উপস্থিত হইলে, শুচি হুইয়া সমিধ দ্বারা লম করিবে ও বিধিপূর্বক একমাস অযুত পূজা করিলে তাহাদিগের শাস্তি ও ঋদ্ধি হইবে, সন্দেহ নাই । উৎপাত ও শক্রবাধা উপস্থিত হইলে, শুচি হইয়ু পলাশ সমিধ দ্বার অযুত হোম করিলে, তাহার শাস্তি হইবে হে দেবি ! অভিচাররূপ বাধায় এইরূপ আচরণ করিবে । এরূপ করিলে অভিচার-শক্তি প্রতিকূল হইয়া শত্ররই উপস্থিত হয়। বিদ্বেষ নিমিত্ত প্রতিলোমভাবে মন্ত্রাক্ষর পাঠ করত আর্দ্র রুধির দ্বারা বিষযুক্ত আটটা বিভীতক সমিধ, দ্বারা হোম করবে। রুধিরাভ্যক্ত সমিধ মানবের বিদ্বেষকর। ২০১—২১• । এখন সৰ্ব্বপাপশুদ্ধির নিমিত্ত প্রায়ুশ্চিন্ত- বধি বলিতেছি। পাপশুদ্ধি যেহেতু জ্ঞান ও সম্পত্তির হেতু ; অতএব মানব সম্যকূপ্রকারে পাপশুদ্ধি করিতে উদ্যত হইবে। পাপশুদ্ধি ন হইলে পুরুষের সকল ক্রিয় নিষ্ফল ও জ্ঞান ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, অতএব পাপশোধন কৰ্ত্তব্য। হে শুভে! বিদ্যা ও লক্ষ্মী শুদ্ধির নিমিত্ত অঞ্জলি বন্ধনপুৰ্ব্বক আমার ধ্যান করিয়া একাদশ বার শিবমন্ত্রসলিল দ্বারা চতুর্দিকে অভিষেক করিবে এবং অষ্ট্রেভরশত শিবমন্ত্র পাঠপূৰ্ব্বক স্নান করবে। সেই স্নান সৰ্ব্বতীর্থ ফলপ্রদ, সৰ্ব্বপাপহর পঞ্চভূতের বিজয় প্রাপ্ত হয়। যত্নপুৰ্ব্বক মনঃসংযম করিয়া যে চতুল্লক্ষি জপ করে, সে ইন্দ্রিয়ের সম্যকু বিজয় প্রাপ্ত হয়। হে কমলাননে। মানব পঞ্চবিংশতিলক্ষ জপ করিলে পঞ্চবিংশতি তত্ত্বে বিজয় প্রাপ্ত হয় । হে সুন্দর । নিৰ্ব্বাত মধ্যরাত্রে আদরপুৰ্ব্বক অযুত জপ করিলে সেই জপরূপ ব্ৰতে ব্রহ্মসিদ্ধি প্রাপ্ত হয়। বাতশূন্ত ও ধ্বনিবর্জিত মধ্যরাত্রে আলস্যপুস্ত হইয়াঁলক্ষ জপ করিলে নি:সংশয় শিব ও শিবকে দর্শন করিতে সক্ষম হয় এবং স্থদ্বয়ের অভ্যস্তুরে ও বাহিরে অন্ধকারবিনাশক দীপপ্রকাশের স্তায় আলোক উদ্ভূত হয়, সন্দেহ নাই। আত্মবান্‌ হইয়া সৰ্ব্বসম্পংসমৃদ্ধির জন্ত অযুত জপ করিবে এবং ভক্তিমান ও গুচি নর শিববীজসম্পূটিত করিয়া, এই মন্ত্র শতলক্ষ জপ করিলে, আমার সাযুজ্য প্রাপ্ত হয়, ইহার অধিক আর কি হইতে পারে, এই সকল প্রকার পঞ্চাক্ষর বিধিক্রম তোমাকে কহিলাম। ধে নর ইহ পাঠ বা শ্রবণ করে, সে পরমগতি প্রাপ্ত হয়। দৈৰ ও পিত্ৰ্যকৰ্ম্মে শুদ্ধ ব্রাহ্মগণকে পঞ্চাক্ষরবিধিক্রম শ্রবণ করাইলে শিবলোকে পূজিত হয়। ২১১-২৩১। পঞ্চাণীতিতম অধ্যায় সমাপ্ত 。 যড়শীতিতম অধ্যায়। কহিলেন ;-দগ্ধকিল্কিৰ - সংসারবিরক্ত জ্ঞানিগণের সুশোভন ধানবজ্ঞকো হইতে শ্রেষ্ঠ বলিয়াছেন। অতএব হে so ব্ৰাহ্মণগণ