পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৬২

পূর্বভাগ । আপনার আত্ময় লীন হইয় স্ত্রণ গ্রহণ শ্রবণ ও ১৪৯ সহবাসে জ্ঞানবিং হয়। অন্যথা কৃত্রিমতাবর্জিত ছুইয় ম্পর্শের জ্ঞান করিবে না, এইরূপ করিলে তাহাকে , গুরুর শুশ্ৰষা করত স্বৰ্গলোক প্রাপ্ত হইয়া তথায় সমরস বলা যায়। পাথির্বসমূহে ব্ৰহ্মা, বাতিৰে 'ভোগৰ অনুভব করিয়া ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করিয়া BB BBS BBBB BBBBS BBBB DBBBBBS BBBB BBS BB BB BBB BBB DDu আকাশ সাক্ষাৎ শিবের চিন্তা করিবে । সৰ্ব্ব, জলে ভব, অগ্নিতে রুদ্র, বা তে উগ্র, সুষিরনাকে অর্থাৎ আকাশে ভীম, স্বৰ্য্যমণ্ডলে ঈশান, চন্দ্রবিম্বে মহাদেব, যজমান পুরুষে পশুপতি, এইরূপ অষ্টপ্রকারে আমি অবস্থিত। শরীরে যে কাঠিন্ত লক্ষিত হয়, তাহ পার্থিব অংশ, দ্রব অংশ জলীয়। যাহা সঞ্চারিত হয় তাহা বায়ুর অংশ, যাহ শব্দের কারণ, তাহা আকাশরুপ বহ্নির অংশ, জলের অংশ রসময়, গন্ধ পার্থিব গুণ, পুনৰ্ব্বার দক্ষিণনেত্ৰে ভাস্কর, বমনেত্রে সোম, হৃদয়ে বিভুর চিস্তা করবে। পাদ হইতে জানুপৰ্য্যন্ত পৃথিবীতত্ত্ব, নাভিপৰ্যন্ত বারিতত্ত্ব, কণ্ঠপৰ্য্যন্ত বায়ুতত্ত্ব, ললাট হইতে শিখাগ্র পর্যন্ত বোমতত্ত্ব, প্রাথমিক সাধক বোমের উদ্ধে হংসাখ্য ব্রহ্ম, বোমাখ্য বোমমধ্যস্থ শিবের স্মরণ করবে। জীব, প্রকৃতি, সত্ত্ব, রজ, তম, মহান, অভিমান, তন্মাত্র, ইলিয়, বোমাদিভূত, কিছুই যথার্থ নহে। তাহার আজ্ঞাক্রমেই স্বর্ধ উদিত, বায়ু ভীত হইয়া প্রস্থত, চন্দ্রম দোতিত, অগ্নি জ্বলিত হয়। ১৯৬–১৪০ ৷ ভূমি ধারণ করে , আকাশ অবকাশ দেয়। অতএব হে দ্বিজগণ! তাহারই চিন্তা করিবে। সেই শিব সকলের অধিষ্ঠাতা , তিনি সৰ্ব্বরূপময় সৰ্ব্ব, ইহা ভাবিয়ু সেই ভবের স্মরণ করবে। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠগণ! সংসার-বিশ্বতপ্ত মানবগণের জ্ঞান ও ধ্যানরূপ অমৃতই প্রতিকারকর, অন্ত কোনরূপে প্রতিকার নাই। জ্ঞান সাক্ষাৎ ধৰ্ম্মের কারণ, বৈরাগ্যের হেতু, বৈরাগ্য হইতে পরমার্থপ্রকাশক জ্ঞান লাভ হয়। হে মুনিনিকর! জ্ঞান ও বৈরাগ্যযুক্ত নরই যোগসিদ্ধি প্রাপ্ত হয়। সত্ত্বনিষ্ঠ নর যোগসিদ্ধিবলেই বিমুক্তি লাভ করিতে পারে, অন্ত কোন প্রকারে মুক্তি হয় না। অবিনশ্বর সৰ্ব্বৈশ্বৰ্য্যকর শিবপদ তমোরপ অবিদ্যার আম্পদস্বরূপ অজ্ঞানদ্বারা আচ্ছন্ন ; অতএব সত্ত্বশক্তি অবলম্বনে শিবের পূজা করিবে যে সত্যনিষ্ঠ, আমার ভক্ত, আমার অর্জমপরায়ণ, সৰ্ব্বপ্রকার ধৰ্ম্মনিষ্ঠ সৰ্ব্বদা উৎসাহী সমাধিযুক্ত সৰ্ব্বৰস্ব-সহিষ্ণু ধীর সর্বভূতহিতে রত, ঋজুস্বভাব, সতত স্বস্থচিত্ত মৃদু, মালশূন্ত, বুদ্ধিমান, শাস্ত, স্পৰ্দাত্যাগী, সৰ্ব্বদা মুক্তি ইচ্ছুক, ধৰ্ম্মজ্ঞ, সে পুৰ্ব্বজন্মের পুণ্যবশে যজ্ঞ অধ্যয়ন ও পুত্রোৎপাদন জ্ঞান প্রাপ্তির ক্রম । অতএব হে মুনিপুীৰগণ । ত্যক্তসঙ্গ ও দৃঢ়ব্ৰত হইয়। এই মার্গে বিচরণ করিলে, সংসার-কালকূট হইতে মুক্ত হয়। আমি এই প্রকার সংক্ষেপেতোমাদিগেরনিকট অচ্যুত শোভন-জ্ঞানমাহাত্ম্য• প্রসঙ্গে কীৰ্ত্তন করিলাম , এই পাশুপত যোগ ঈশ্বর কর্তৃক কথিত। শিব কহ্যিাচেন, যে কোন ব্যক্তিকে এই যোগ দিবে ন| ভষ্মনিষ্ঠ যোগীকে এই সুপ্রিয যোগ দান করিবে। এই সংসারশমন-প্রকরণ যে পাঠ বা শ্রবণ করে সে নিঃসংশয় ব্রহ্মসাযুজ্য প্রাপ্ত ۹ t، لا-سریال ۹لا | : ষডলীতিতম অধ্যায় সমাপ্ত । - সপ্তাশীতিতম অধ্যায় । স্থত কহিলেন, সনৎকুমারাদি মহাপ্রাজ্ঞ মহর্ষিগণ, রুদ্রের বাক্য শ্রবণ করিয়| প্রসন্ন পরমেশ্বর পিনাকপাণিকে প্রণাম করিয়া সভয়ে কহিলেন, হে মহেঙ্গ! যদি সংসার বিষণ্ডুল্য ভয়ানক, তবে আপনি দেবী হৈমবতীর সহিত বিবিধ ভোগ দ্বারা ক্রীড়া করিতেছেন কেন ? ইহা বলুন। স্থত ন, পিনাকপাণি নীললোহিত ঈশ্বর এইরূপ উক্ত হইয়া অশ্বিকার প্রতি দৃষ্টিপাত ও হান্ত করত প্ৰণত ঋষিগণকে কহিলেন, আমার বন্ধ-মোক্ষ নাই, আমি স্বেচ্ছাশরীরী। অকৰ্ত্ত অজ্ঞ পশুভোক্ত অণু, বিভু, মায়ী জীব পুরুষ মায়ায় বদ্ধ হইয়া কৰ্ম্মে আবদ্ধ হয়। আত্মার জ্ঞান ধ্যান বন্ধ বা মোক্ষ নাই। যে আমার যথার্থজ্ঞ, তাহারও জ্ঞান ধ্যানাদি নাই। এই হৈমৱতী বিদ্য, আমি বৈদ্য, এই দেবী প্রজ্ঞ, শ্রীতি, স্মৃতি, ধৃতি, অভয়া, ‘ੇ, জ্ঞানশক্তি, ক্রিয়া, ইচ্ছ, আজ্ঞা এবং পরাপর বিদ্যান্ধয় । ইনি জীবের প্রকৃতি বা বিকৃতি নুহন। এই অনিৰ্ব্বচনীয় সনাতনী দেবী বিকার মহেন, মিস্তু মায়া। পূৰ্ব্বে জগতের অভয়দায়িনী পঞ্চবক্ৰী মহাভাগ৷ সনাতনী দেবী আমার আজ্ঞাক্ৰমে আমারই বক্র হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন। আমি সপ্তবিংশং প্রকারে এই দেবীদ্বারা সকল ব্যাপ্ত করিয়া জগতের হিতচিন্তা করিয়াছিলাম। ১-১০ । সেই অবধি মোক্ষের প্রবৃত্তি