পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tషి প্রাপ্ত হয়। মনুষ্য হইতে পশুত্ব, পশুত্ব হইতে মূগত্ব, মৃগতৃ হইতে পক্ষিত্ব, পক্ষিত্ব হইতে সরীস্থপত্ত্ব এবং সরীস্বপত্ত্ব হইতে স্থাবরত্ব প্রাপ্ত হয়, সন্দেহ নাই। স্থাবরত্ব প্রাপ্ত হইয়া মনুষ্য হয়, আবার কুলালচক্রবং ভ্রান্ত হইয়া সেই স্থাবরত্বেই পরিবর্তন করে ; এইরূপে মানবাদি স্থাবরান্ত তামস সংসার, ইহারা সকলেই স্থাবরত্বে পরিবৰ্ত্তিত হয়। ব্রহ্মাদি পিশাচাস্ত সাত্বিক সংসার, ঐ সংসার দেহিগণের স্বৰ্গস্থানে স্থিত। ব্রাহ্মভাবে কেবল সত্ত্বভাব, স্থাবরভাবে কেবল তমঃ ; চতুর্দশ স্থানের মধ্যে মৰ্ম্মচ্ছেদ হইলে বেদনার্থ দেহীর রজোগুণবিষ্টস্তক। অতএব বিপ্র সেই পরব্রহ্মকে কিরূপে স্মরণ করবে। সংসার পূর্ব ধৰ্ম্মের ভাবনায় প্রণোদিত হইয়া মানবত্ব প্রাপ্ত হয়, অতএব ধ্যান আচরণ করবে। এই সংসারমণ্ডলকে চতুর্দশ ভুবনরূপ বোধ করিয়া সংসারভয়পীড়িত হইয়া নিত্য ধৰ্ম্ম আরম্ভ করিবে । তৃ হইতে ক্ৰমে । পরিবৰ্ত্তিত হইয়া সংসার হইতে উত্তীর্ণ হয় ; অতএব ধ্যানতৎপরযুক্ত মানব সেই প্রকারে যোগ আচরণ করিযে, যাহাতে পরসাত্মার দর্শন করিতে পারে। এই শিব শাশ্বত সৰ্ব্বভূতের পার্থক্য বিচারে এই পরমাত্মা ও অনুত্তম সেতু, অতএব সেই আত্মা ও অগ্নিস্বরূপ সৰ্ব্বভূতের হদিস্থ, বিশ্বতোমুখ মহেশ্বরের উপাসনা করিবে এবং পুৰ্ব্বোক্তরূপে আপনার হৃদয়ে পৃথিব্যাদি অষ্টরূপে ও পৃথিব্যাদি অভিমানী ভবাদি রূপে এবং বামদেবাদি অষ্টরূপে অবস্থিত স্বীয় শক্তিরূপিণী উমার সহিত শোভিত ভুবননায়ক দেবেশ-রুদ্রের ধ্যান করিয়া প্রজ্বলিত বহিকে স্থষ্টিনিৰ্ব্বাহ জন্ত সঙ্কুচিত করিয়া, তচ্চিস্তাগত মানসে হদিস্থ বহিতে যথাবিধানে অনুপূর্বে পঞ্চ আহুতি হোম করিয়া বস্ত্রাদি-শোধিত জল একবার পান করিয়া উপবেশন করিবে, স্বাহাকারযুক্ত প্রাণায় এই মন্ত্রে প্রথম মাহুতি, ঐরূপ অপানায় এই মন্ত্রে দ্বিতীয় আহুতি, ব্যানায় এই মন্ত্রে তৃতীয়, উদানায় এই মন্ত্রে চতুৰ্থ, এবং সুমালায় এই মন্ত্রে পঞ্চম আহুতি দিয়া অবশিষ্ট হণ বখাকাম ভোজন করিবে। অম্লত্তর পুনৰ্ব্বার একবার জল পান করিয়া আচমলপূৰ্ব্বক হৃদয় স্পর্শ করিয়া “হে শিব। ভূমি প্রাণাদি বায়ুর গ্রন্থি, যেহেতু রুদ্র আস্বরূপ, তুমি দুঃখনাশক আমার হৃদয়ে প্রবেশ কর, রুদ্র জীবের প্রাণ এইরূপে স্বয়ং আঞ্চায়িত কৃরিবে। রুদ্র প্রাণবিশিষ্ট্র, অতএব রুদ্র প্রাণময় ; প্রাণস্বরূপ রুদ্র-উদ্দেশে উত্তম অমৃত হোম । করবে হে শিব ! তুমি হয়ে প্রবেশ কর, ব্ৰহ্মা লিঙ্গপুরাণ । শিব-উদ্দেশে হবিঃত্যাগ করিতেছি” শাস্ত্রানুসারে শ্রাদ্ধে এই পঞ্চাহতি দান করবে। হে শিব ! তুমি অঙ্গুষ্ঠ প্রমাণে হৃদয়-আকাশে শয়ন করিতেছ; অতএব তুমি পুরুষ। তুমি পাদাঙ্গুষ্ঠ হইতে মস্তকপৰ্যন্ত ব্যাপী, পরম কারণ, সকল জগতের প্রভু এবং নিত্য ; তুমি প্রীতিমান হও । তুমি দেবগণের জ্যেষ্ঠ, প্রথম ইন্দ্র ও রুদ্র । তুমি আমাদিগের প্রতি মৃদু হও এবং এই প্রাশিত অন্ন তোমা উদ্দেশে স্থত হউক। আমি অণিমাদি গুণ-প্রাপ্তি বিশেষানুরোধে এই সকল এবং পূৰ্ব্বে স্বয়ং ব্রহ্মকর্তৃক কথিত যোগাচার কহিলাম। এই প্রকার পাশুপত যোগ প্রযত্বপূৰ্ব্বক জানা উচিত এবং নিত্য ভস্মশায়ী ও ভস্মলিপ্ত হইবে। যে এই গুণপ্রাপ্তি দৈব পৈত্র্য কৰ্ম্মে পাঠ করে, শ্রবণ করে বা শ্রবণ করায়, সে পরম গতি লাভ করিতে সক্ষম tళి-ఫిరి | অষ্ট্রাণীতিতম অধ্যায় সমাপ্ত। উননবতিম অধ্যায় । স্থত কহিলেন, ইহার পর আমি শৌচাচারের লক্ষণ বলিতেছি, ইহার অনুষ্ঠানে শুদ্ধাত্মা হইয়া পরলোকে গতিলাভ করিতে পারে। পুৰ্ব্বে ব্রহ্মা সৰ্ব্বভূতহিত নিমিত্ত ব্ৰহ্মবাদীদিগের সর্ববেদার্থসার কোশস্বরূপ ইহ সংক্ষেপে কহিয়াছেন মুনিগণের শোঁচোদয় নিমিত্ত সেই উত্তম বিষয় বলিতেছি। যে মুনি সেই সদাচারে অপ্ৰমত্ত হয়, তিনি অবসন্ন হন না। মান ও অবমান, এই দুটী বিষ ও অমৃত । অবমান অমৃত ও মান বিষ । গুরুর হিতে যুক্ত হইয়া সংবৎসর বাস করিয়া অনন্তর সৰ্ব্বোত্তম জ্ঞানযোগ ও অনুজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়া বিহিত আচারের অবিরোধে পৃথিবীতে বিচরণ করবে। দৃষ্টিপুত করিয়া পথে চলিবে, বস্ত্রপুত করিয়া জলপান করিবে, সত্যপূত করিয়া কথা কহিবে এবং মনঃপূত করিয়া কাৰ্য্য করিবে। ষষ্মাসাভ্যস্তরে মৎস্ক3াহীর যে পাপ হয়, একদিন অপুত্তজল পান করিলে সেই পাপ হয়। অপুতজলপান করিলে পঞ্চশত আম্বোর মন্ত্রজপ করিয়া শুদ্ধিলাভ করে। অথবা দ্বতস্নানাদি দ্বারা বিস্তররূপে শঙ্করের পূজা করিয়া তিনবার প্রদক্ষিণ করিলে নিঃসংশয় শুদ্ধ হয়। যোগবিং ব্যক্তি আতিথ্য, শ্ৰাদ্ধ এবং যজ্ঞে ৰখন ভৈক্ষ্য গ্রহণ করিৰে ন। এই প্রকারে রোগী জহিংসক হয়। অগ্নি